মুম্বই, ১৪ মার্চ: অ্যান্টিলার (Antilia) সামনে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় এনআইএ-র হাতে গ্রেফ্তার মুম্বই পুলিশের এনকাউন্টার বিশেষজ্ঞ সচিন বেইজকে। গত ১২ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনআইএ। শনিবার রাত ১১.৫০ নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) বাড়ি অ্যান্টিলার সামনে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। এরপর থেকেই দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জড়িত ব্যক্তিদের।
রবিবার তাঁকে মুম্বই পুলিশ অফিসারকে আদালতে হাজির করা হবে। ২৫ শে ফেব্রুয়ারি শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির মুম্বইয়ের বাড়ির বাইরে বিস্ফোরকের লাঠি ও একটি হুমকিযুক্ত চিঠি একটি স্করপিও গাড়ি পাওয়া গিয়েছিল। এই ঘটনায় সচিন বেইজ বোমা বিস্ফোরণ মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং পরে তাঁকে অপসারণ করা হয়। এই মামলার তদন্ত পরে এনআইএ হাতে নিয়েছিল। আরও পড়ুন, অ্যান্টিলার সামনে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় মিলল প্রয়াত স্করপিও ডিলারের চিঠি; চিঠিতে সংবাদমাধ্যম, পুলিশকে তোপ
এনআইএ'র মুখপাত্রদের মতে, ২৫ ফেব্রুয়ারি কারমাইকেল রোডের কাছে বিস্ফোরকবাহী গাড়ি রাখার ক্ষেত্রে ভূমিকা ও জড়িত থাকার জন্য শচীন বেইজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে বিধানসভা বিস্ফোরক পদার্থের প্রতি অবহেলা, জালিয়াতির শাস্তি, নকল সীল তৈরি বা অধিকার, ফৌজদারি ভয় দেখানো, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-র অধীনে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৯০৮ এর দণ্ডবিধি এবং ৪ (ক) (খ) (আই) আইন অনুযায়ী বিস্ফোরণ ঘটাতে চেষ্টা এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
আম্বানির বাসভবনের কাছাকাছি পাওয়া স্করপিও গাড়ির মালিক থানের ব্যবসায়ী মনসুখ হিরণের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত ভূমিকার জন্যও সচিন বেইজ তদন্ত শুরু করেন। ২ মার্চ একটি জলাশয়ে তাঁর দেহ মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। শনিবার, পুলিশ কর্মকর্তা দক্ষিণ মুম্বইয়ের কাম্বালা হিলের এনআইএ অফিসে পৌঁছেছেন সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে তার বয়ান রেকর্ড করতে পৌঁছন।
এনআইএ অফিসে পৌঁছনোর আগে তিনি একটি হোয়াটস অ্যাপ স্টেটাস লেখে, যাতে লেখা ছিল-'বিদায় বলার সময় এসে গেছে'। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, ৩মার্চ ২০০৪-এ সিআইডি থেকে সহকারী অফিসাররা আমাকে একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছিল। এই গ্রেপ্তারটি আজ পর্যন্ত অনিবার্য। সেই ইতিহাসের আবার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। আমার সহকারী অফিসাররা আমাকে মিথ্যা ফাঁদে ফেলেছে। গত ১৭ বছর আমি আশায় বেঁচেছিলাম। এখন আমার জীবন বাঁচার আর সেবা বা ধৈর্য থাকবে না। আমি মনে করি বিশ্বকে বিদায় দেওয়ার সময়টি নিকটে আসছে।