নতুন দিল্লি, ১৮ ডিসেম্বর: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করার আগে যেন ১৯৪৭ সালের এগজিকিউটিভ কমিটির রিপোর্টখানা ভাল করে পড়ে নেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তারপর যেন বিরোধতার জন্য গলা ফাটানোর পরিকল্পনা করেন। বুধবার একথাই জাতীয় কংগ্রেসকে স্মরণ করিয়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Union Home Minister Amit Shah)। হিন্দিতে এক টুইট করে অমিত শাহ বলেন, কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বসে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও যেন ১৯৪৭ সালে তৎকালীন কংগ্রেসের এগজিকিউটিভ কমিটি যে রিপোর্ট পেশ করেছিল তা একবার দেখে নেন। সেই কমিটিতে ছিলেন জওহরলাল নেহরু, মহত্মা গান্ধী, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল, রাজেন্দ্র প্রসাদ প্রমুখ।
সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল নিয়ে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে দেশকে অশান্ত করার আগে কংগ্রেসের উচিত ১৯৪৭ সালে যখন দেশ স্বাধীন হচ্ছে তৎকালীন কংগ্রেসের কর্মকাণ্ডের দিকে একবার দৃষ্টিপাত করা। কংগ্রেসের এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্যরা সেই বছরের ২৫ নভেম্বর একটি বিবৃত দিয়েছিলেন। সেই কমিটিতে থাকা গান্ধী, নেহরু, প্যাটেল, রাজেন্দ্র প্রসাদের (Mahatma Gandhi, Jawahar Lal Nehru, Rajendra Prasad and Sardar Patel) মিলিত ভাবনাতেই তৈরি হয়েছিল বিবৃতি। সেটি পাঠ করার পরে সমালোচনা, বিরোধিতা যা করার কংগ্রেস নেতৃত্ব করতে পারেন। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আরও পড়ুন-Citizenship Amendment Act: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট, মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ জানুয়ারি
কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলতের মন্তব্য নিয়েও শুরু হয়েছে সমালোচনা। যে গ্রাউন্ডে কংগ্রেস সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছে তাকে বৈষম্য মূলক বলেছেন অমিত শাহ। এদিক গতকালই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে ১৪ জন রাজনৈতিক নেতার এক প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেন। এই দলে ছিলেন কংগ্রেস নেতা একে অ্যান্টনি থেকে শুরু করে তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন, সিপিআই-এর ডি- রাজা, সিপিআইএম-এর সীতারাম ইয়েচুরি, শরদ যাদব প্রমুখ। সকলেরইএকটাই দাবি, এই নয়া আইনের কোপে গোটা দেশ জ্বলছে। শিক্ষাক্ষেত্রে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। পুলিশ আইনের শাসন মানছে না। তাই আইনটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক।