ব্যাংক ধর্মঘট(Photo Credits: IANS)

নতুন দিল্লি, ৬ মার্চ: কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছেন দশটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক মিশতে চলেছে সামনের মাসেই। আগামী এপ্রিলে ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক মিলে চারটিতে পরিণত হচ্ছে। সংযুক্তি করণের পর কি হতে চলেছে তা দেখতে গেলে আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতে না আসতেই সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে একদিনের কর্মবিরতির ডাক দিলেন ব্যাংক কর্মীরা। এই ধর্মঘটে রয়েছে ব্যাংক কর্মচারীদের ইউনিয়ন অল ইন্ডিয়া ব্যাংক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন (AIBEA) ও অল ইন্ডিয়া ব্যাংক অফিসারস অ্যাসোসিয়েশন (AIBOA)। মূলত ধর্মঘটের মূল লক্ষ্যই থাকছে ব্যাংক সংযুক্তিকরণ বন্ধ করতে হবে। এর আগে নির্ধারিত ধর্মঘটের দিন ছিল আগামী ১১ মার্চ। তবে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই দিন বদলে তা ২৭ মার্চ করা হয়েছে।

ব্যাংক কর্মচারীদের সংগঠন ব্যাংক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া (বিইএফআই)-র সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস বসুচৌধুরি বলেন, “ব্যাংক সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকিং সেক্টরকে কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়া চেষ্টা করছে।” একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, “সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়বেন সাধারণ গ্রাহকরা” আরও পড়ুন- Coronavirus Scar In India: করোনার সংক্রমণ রোধে ৩১ মার্চ পর্যন্ত খুদে পড়ুয়াদের ছুটি ঘোষণা আপ সরকারের

জানা গিয়েছে, ব্যাংক সংযুক্তিকরণ আটকানো, আইডিবিআই ব্যাংকের বেসরকারিকরণ রোখা, ব্যাংক সংস্কার বন্ধ করা, ডিপোজিটের ওপর সুদের হার বৃদ্ধি প্রভৃতি। এই ধর্মঘটের আগে দফায় দফায় বিক্ষোভ কর্মসূচি করা হবে বলে ব্যাংককর্মীদের সংগঠনের তরফ থেকে জানান হয়েছে। সংযুক্তিকরণের পরিকল্পনা অনুযায়ী পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে-এ মিশে যাবে ইউনাইটেড ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ও ওরিয়েন্টাল ব্যাংক অফ কমার্স। এটি হয়ে যাবে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। একই সঙ্গে সিন্ডিকেট ব্যাংক-কে কানাড়া ব্যাংকের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হবে। এলাহাবাদ ব্যাংক জুড়ে যাবে ইন্ডিয়ান ব্যাংকের সঙ্গে। অন্যদিকে ইউনিয়ন ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে অন্ধ্র ব্যাংক ও কর্পোরেশন ব্যাংককে।