Coronavirus Outbreak In Maharashtra: করোনাত্রস্ত মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফিরছেন ২৬ হাজার ভারতীয়, তাঁদের কোয়ারেন্টাইনের বন্দোবস্ত করল বৃহন্মুম্বই পুরসভা
করোনাভাইরাস (Photo Credits: IANS)

মুম্বই, ১৯ মার্চ: করোনাভাইরাস (Coronavirus) আতঙ্কের মধ্যেই দেশে ১৬৯-এ পৌঁছে গেল আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রের অবস্থা ভীষণ খারাপ। বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত করোনাত্রস্ত মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রায় ২৬ হাজার ভারতীয় দেশে ফিরবে। তাঁদের সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরব, দুবাই, কুয়েত, কাতার ও ওমান থেকে ফিরবেন তাঁরা। আগেভাগেই বিপদ এড়াতে প্রত্যেককে কোয়ারেন্টাইনে রাখার প্রস্তুতি শুরু করেছে বৃহন্মুম্বই পুরসভা। বিদেশ ফেরত মুম্বইকররা ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। ১৮ মার্চ থেকে এই সময়সীমা শুরু হয়েছে। একসঙ্গে প্রায় এক হাজার জন মুম্বইতে ফিরছেন। ইতিমধ্যেই তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য পাওয়াই এলাকায় নতুন তৈরি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে গুছিয়ে ফেলেছে বিএমসি।

মারোলের সেভনহিলস হাসপাতালকে আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। প্রায় ২৬ হাজার জন আসছেন। যাঁরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারি এবং মুম্বইতে বাড়ি আছে, তাঁদের ১৪ দিনের জন্য সেখানে কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হবে। পুনে নাসিকের মতো এলাকায় যাঁরা থাকেন। যেখানে সংক্রমণের সম্ভাবনা কম। সেসব জায়গায় নিজেদের বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন তাঁরা। তবে বিমানবন্দর থেকে বাড়িতে যাওয়ার জন্য নিজের গাড়ি ব্যবহার করতে হবে। তবে প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে সঙ্গেই কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। কমিশনার প্রবীণ পরদেশি বলেছেন, “যাঁরা বিমানবন্দর থেকে আসছেন, তাঁর ১৪ দিনের জন্য বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকুন। গণ পরিবহণ ব্যবহার করবেন না। বাড়ির গাড়িতে যাতায়াত করুন। যদি বাড়িতে সেলফ কোয়ারেন্টাইডের ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সোজা চলে পাওয়াই বা সেভন হিলসে চলে যান। যাতে মারণ ভাইরাস ছড়াতে না পারে তা প্রত্যেক মুম্বইকরকে দেখতে হবে। সেজন্য পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সুরক্ষার ব্যবস্থাও নিতে হবে।” আরও পড়ুন- COVID-19 Outbreak: রাজধানীতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাৎক্ষণিকভাবে কম জরুরি ওপিডি রোগীর অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল এইমসে

ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১৭১। মুম্বই রয়েছে তালিকার শীর্ষে। এখানে আক্রান্ত ৪৫। ১৪ জন করোনাসংক্রমণ থেকে মুক্ত হয়েছে, সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। কর্ণাটক, দিল্লি ও মহারাষ্ট্র মিলিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।