Photo Credits: ANI

বিহারে লোকসভা ভোটের আগে দলবদলের খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। নীতীশ কুমার শিবির বদল করে এনডিএ-তে যাওয়ার পর থেকে বিহারে বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরছে। বিজেপির হাত ধরে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর নীতীশের আস্থা ভোট বা ফ্লোর টেস্টে আরজেডি-র দুই বিধায়ক ক্রস ভোটিংয়ের পর দল ছেড়েছিলেন। এবার কংগ্রেসের দুই বিধায়ক ও লালু-তেজস্বী যাদবের দলের দুই বিধায়ক পদ্ম শিবিরে যোগ দিলেন। তার মানে সব মিলিয়ে গত কয়েক সপ্তাহে বিহারের বিরোধী শিবিরের মোট পাঁচজন বিধায়ক বিজেপিতে নাম লেখাল। ফলে বিহার বিধানসভায় বিজেপি এখন একক বৃহত্তম দল।

বিহারের দাপুটে দুই কংগ্রেস নেতা- প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ছেনারি-র বিধায়ক মুরারি প্রসাদ গৌতম ও বিক্রম কেন্দ্রের বিধায়ক সিদ্ধার্থ সৌরভ বিজেপিতে যোগ দিয়ে জানালেন, কংগ্রেসে থেকে উন্নয়ন করা যাচ্ছে না। নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়ন যজ্ঞ সামিল না হয়ে তারা থাকতে পারছেন না। অন্যদিকে, আরজেডি বিধায়িকা সঙ্গীতা কুমারী বিজেপির পতাকা হাতা তুলে জানালেন, তেজস্বী দুর্নীতিবাজ, বিজেপিতে থেকে মানুষের সেবা করতে চাই।

ভোট যত কাছে আসছে বিহারে বিরোধী শিবিরে দল ছাড়ার হিড়িক বাড়ছে। শক্তি বাড়চ্ছে সম্রাট চৌধুরীর নেতৃত্বে নামা বিজেপি। তবে জেলা সফরে বেরিয়ে তেজস্বী যাদব বেশ ভাল সাড়া পাচ্ছেন। তেজস্বী যাদবের অভিযোগ, সেখানে টাকার খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই যারা লোভ পড়ছেন দল ছেড়ে ওদের দিকে যাচ্ছেন। ওরা যতই দল ভাঙাক, আমরা বিজেপিকে হারাবোই।

রাত সাড়ে ১২টা-তেও তেজস্বী বিহার যাত্রায় রোড শো চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁকে দেখতে বেশ ভিড় হচ্ছে। আস্থা ভোটে নীতীশের জয়ের পর বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী আর বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে যা বলেছিলেন তেজস্বী তা সবার মন জিতেছিল। দল ছাড়ার হিড়িকের মাঝে বিহারে তেজস্বী-ই এখন বিরোধীদের আশার আলো।