
অবশেষে প্রকাশ্যে এল ট্যাংরায় (Tangra) অতুল শূর রোডে অবস্থিত দে বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুর ঘটনার। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যাচ্ছে এক নাবালিকা ও দুই মহিলাকে খুন করেই হত্যা করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, মৃত রোমি দে ও তাঁর জা সুদেষ্ণা দে-এর হাত ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয় তাঁর। অন্যদিকে মেয়ে প্রিয়ম্বদার হাত, পা, বুক, ঠোঁট ও কপালে আঘাতের চিহ্ন ছিল। কালশিটে দাগ ছিল হাতে ও পায়ে। এমনকী হজম হওয়া খাবারে বিষের অস্তিত্বও পাওয়া গিয়েছে। যার ফলে এটা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এই বিষয়টি পরিস্কার যে তিনজনকে খুন করা হয়েছে।
অন্যদিকে বাড়ির তিনতলায় একটি পেপার কাটিং নটরাজ কোম্পানী ছুরি পাওয়া গিয়েছে। যা মূলত সবজি কাটতে ব্যবহার করা হয়। পুলিশ সেই ছুরিও সংগ্রহ করে। এছাড়া তিনতলার বাথরুমের মেঝে ও দেওয়ালে রক্তের নমুনা পাওয়া যায়। পুলিশের অনুমান, রোমি ও সুদেষ্ণাকে প্রথমে তাঁদের বাথরুমে নিয়ে গিয়ে ছুরি নিয়ে নলি কাটা হয়, তারপর দেহ ঘরে রেখে দেওয়া হয়। যদিও ঘরের বিছানাতেও রক্ত ভেসে গিয়েছিল। যদিও এখনও একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, বাড়ির সদস্যদের খুন করে কেন নাবালক প্রতিপকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছিলেন প্রণয় ও প্রসূণ?
কারণ, তাঁরা নিজেদের ঘরেও আত্মহত্যা করতে পারতেন। এমনকী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন একথাও বলেছেন যে তাঁরা প্রথমে বাড়ির ছাঁদ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। সেই মতো ছাঁদে গেলেও পরবর্তীকালে তাঁরা ঘুমের ওষুধ খেয়ে গাড়ি চালানোর পরিকল্পনা করেন। ফলে কেন পরিকল্পনা পরিবর্তন করা হল, তাঁর উত্তর খুঁজছে পুলিশ। এছাড়া নাবালিকা সহ দুই মহিলাকে কারা খুন করল সেই বিষয়টিও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং এই কাণ্ড ঘটানোর পেছনে কি শুধুই আর্থিক সমস্যা ছিল নাকি অন্যকিছু, তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।