ওয়াশিংটন, ৭ ডিসেম্বর: তালিবানের (Taliban) সঙ্গে আবারও আলোচনা শুরু করল অ্যামেরিকা (United States)। সূত্রের খবর, শনিবার কাতারে (Qatar) তালিবানের সঙ্গে পুনরায় আলোচনা শুরু হয়েছে। মাস তিনেক আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) হঠাৎ করেই তালিবানের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন। দীর্ঘ ১৮ বছরের যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে দোহায় অ্যামেরিকার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা শুরু করে তালিবান। এ বছরের সেপ্টেম্বরে উভয় পক্ষের আলোচকরা একটি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছোনোর কথা বললেও পরে তা বাতিল করে দেন ট্রাম্প।
তবে সম্প্রতি দুই পক্ষের বন্দি বিনিময়ের পর চুক্তি নিয়ে নতুন করে আশা দেখা দেয়। সিনিয়র তালিবান কমান্ডাররা জানিয়েছেন, কাতারে অ্যামেরিকার আলোচকদের সঙ্গে তাদের বৈঠক শুরু হয়েছে। এক সূত্র জানিয়েছে, "অ্যামেরিকা আজ দোহায় আবারও আলোচনায় যোগ দিয়েছে। আলোচনার বিষয় হল হিংসা কমানো ও যুদ্ধবিরতি" সেপ্টেম্বরে, অ্যামেরিকা এবং তালিবানরা একটি চুক্তি স্বাক্ষরের কাছাকাছি উপস্থিত হয়েছিল। যাতে করে ওয়াশিংটন সুরক্ষা গ্যারান্টির বিনিময়ে কয়েক হাজার সেনা প্রত্যাহার করা আরম্ভ করত। তবে একই মাসে ট্রাম্প হঠাৎ করে সেই প্রচেষ্টাটিকে "মৃত" বলে অভিহিত করেছিলেন এবং আমেরিকান সেনার হত্যার পরে ক্যাম্প ডেভিডে গোপন আলোচনায় যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করেছিলেন। এদিকে গত সপ্তাহেই হঠাৎ করে আফগানিস্তান যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে তাঁর দেশের একটি সামরিক ঘাঁটিতে তিনি বলেন, "তালিবান চুক্তি করতে চায়।" আরও পড়ুন: Nithyananda: কেউ আমাকে ছুঁতে পারবে না! নিজের দেশ কৈলাস থেকে ভারতকে কটাক্ষ স্বঘোষিত গডম্যান নিত্যানন্দের
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে (World Trade Center) হামলার পর থেকে আফগানিস্তানে ১৩ হাজার অ্যামেরিকান সেনা রয়েছে। তালিবান চায়, দেশটি থেকে অ্যামেরিকার সেনা প্রত্যাহার করা হোক। আর ওয়াশিংটন চায়, সেখানে তাদের সেনা ও মিত্রদের নিরাপত্তা। তবে আফগান সরকারকে ওয়াশিংটনের পুতুল আখ্যা দিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বরাবরই অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল তালিবান।