Russia-Ukraine War (Photo Credit: Twitter)

China-Taiwan Crisis: ইউক্রেনের পর এবার তাইওয়ানের পাশে দাঁড়াতে চলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তাইওয়ানকে ৩৩ কোটি মার্কিন ডলার সামরিক অস্ত্র সাহায্য বা প্যাকেজ ঘোষণা করতে চলেছে জো বাইডেন প্রশাসন। মার্কিন বাজেটে চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলা করা তাইওয়ানের জন্য ৩৩০ মার্কিন ডলার বরাদ্দ ঘোষণা করতে চলেছে ওয়াশিংটন। তবে ধীরে ধীরে এই বারদ্দা ১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে বলেও জানানো হয়েছে। তাইওয়ানে চিনের আগ্রাসন তখন সরাসরি আমেরিকা-চিনের যুদ্ধে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা। এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে স্থানীয় সংবাদমধ্যমে।

প্রসঙ্গত, রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ইউক্রেনকে ৪৪ বিলিয়ন ডলার অর্থ ও সামরিক অস্ত্র সাহায্য খাতে খরচ করেছে আমেরিকা। ইউক্রেনকে এখনও পর্যন্ত ৫০০ মিলিয়ন ডলার অর্থের সামরিক অস্ত্র ও যন্ত্রাদি দিয়ে সাহায্য করেছে বাইডেন প্রশাসন। এবং আরও ১.২ বিলিয়ন ডলার সামরিক সাহায্য ইউক্রেনকে করতে চলেছে আমেরিকা। রাশিয়ার হানায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া ইউক্রেনকে পুনর্গঠনের জন্য আমেরিকা খরচ করেছে ৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আরও পড়ুন-মার্কিন আদালতের ঐতিহাসিক শুনানিতে উঠে এল এলিয়েন-ইউএফওর অস্তিত্বের কথা, জানুন বিস্তারিত

দেখুন টুইট

রাশিয়ার পর এবার সরাসরি চিনের সঙ্গে সম্মুখ সমরে নামতে চলেছে আমেরিকা। ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে রেকর্ড অর্থ ও সামরিক সাহায্য দিয়ে বকলমে পুতিনের বিরুদ্ধে লড়ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একই রকমভাবে রাশিয়ার ইউক্রেনের ঢঙে তাইওয়ানে আগ্রাসন চালানো চিনের বিরুদ্ধে ঘুরিয়ে যুদ্ধে নামছে আমেরিকা। একদিকে রাশিয়া বনাম ইউক্রেন-আমেরিকা, অন্যদিকে চিন বনাম তাইওয়ান-আমেরিকা। বিশেষজ্ঞরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।