Oceangate (Photo Credit: Twitter)

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া ৫ পর্যটকের ফিরে আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। আটলান্টিকের তলদেশেই ওই ৫ জনের সলীল সমাধি হয়েছে। সাবমেরিনের অন্দরে থাকাকালীন ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরেই ওই ৫ পর্যটকের মহাসাগরের অন্দরেই মৃত্যু হয়েছে। এমনই জানাল আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনী। মহাসাগরের অন্দরে অর্থাৎ উত্তর আটলান্টিকের একটি কোণ থেকে ওই সাবমেরিনের বেশ কিছু টুকরো উদ্ধার করেছে একটি রোবট জাহাজ। যা দেখার পর ওই ৫ পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হয় আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনী।

গত রবিবার ওসানগেট নামে আমেরিকার একটি জাহাজ কোম্পানি ৫ জনকে নিয়ে আটলান্টিকের অন্দরে ডুব দেয়।  আটলান্টিকের অন্দরে কোথায় টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, তা দেখতেই ওসানগেটের সাবমেরিন টাইটান ডুব দেয় ৫ জনকে নিয়ে। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি টাকা খরচ করে ওই পর্যটকরা আটলান্টিক মহাসাগরের অন্দরে ডুব দেন। যাঁদের মধ্যে ছিলেন ওসানগেটের সিইও-ও। রবিবার আটলান্টিকে ডুব দেওয়ার পর সাবমেরিন ওসানগেটের সঙ্গে পাইলট জাহাজের ২ ঘণ্টা যোগাযোগ ছিল। কিন্তু ২ ঘণ্টা পর থেকে পাইলট জাহাজের সঙ্গে টাইটানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন থেকেই শুরু হয় খোঁজ।

আরও পড়ুন: Titanic Tourist: টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে ৫ পর্যটকের আটলান্টিক যাত্রা, সাবমেরিন খুঁজতে শেষ চেষ্টায় মহাসাগরে নামল রোবট

টাইটানে যে পরিমাণ অক্সিজেন ছিল, তাতে ওই ৫ জনের বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত জীবিত থাকার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনী সাংবাদিক সম্মেলন করে ৫ জনের জীবিত থাকার সম্ভাবনা আর নেই বলে জানা যায়। পাশাপাশি ওসানগেটের তরফেও প্রকাশ করা হয় বিবৃতি। জানানো হয়, ওই ৫ জনের মধ্যে ছিলেন কোম্পানির সিইও স্টকসন রাশ। যিনি টাইটানের পাইলট ছিলেন। স্টকসন রাশেরও মৃত্যু হয়েছে বাকি চার জনের সঙ্গে বলে জানায় ওসানগেট।