কলম্বো, ৩০ জুলাই: শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সঙ্কটের কথা শুনে আঁতকে উঠেছে বিশ্ব। আর্থিক সঙ্কট থেকে শ্রীলঙ্কাকে টেনে তোলার পর কোনও পন্থাই কাজে দেয়নি। জ্বালানী তেলের অভাব, মুদ্রাস্ফীতি চরমে ওঠায় শ্রীলঙ্কার প্রায় সব শিল্প-ব্যবসাই চরম সঙ্কটে। সবচেয়ে কঠিন সময় শ্রীলঙ্কার বস্ত্রশিল্পে। রোজই একের পর এক বস্ত্রশিল্পের কারখানা বন্ধ হচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রে। আর লঙ্কান মহিলারাই এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জীবনে বাঁচতে দেহব্যবসায় নেমে পড়েছেন বলে খবর। কলম্বোর এক এনজিও-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাধ্য হয়েই রোজ দেশের হাজার হাজার মহিলা দেহব্যবসায় নেমে পড়েছেন। এখনই তাদের বাঁচানোর কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, শ্রীলঙ্কায় আরও খারাপ দিন আসতে চলেছে বলে এসইউএমএল এনজিও-র কর্মী আশিলা দানদেনিয়া জানালেন।
সন্ধ্যা নামতেই কলম্বো, ক্যান্ডি সহ শ্রীলঙ্কার শহরাঞ্চলের কিছু রাস্তায় দেহব্যবসায়ীদের ঢল চোখে পড়ছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ।
দেখুন টুইট
Sri Lanka | Amid looming economic crisis, fear of poverty & financial hardship push women, from textile industry, into sex-work
They don't have alternative. Either their families don't have source of income or they've been abandoned by their partners: Ashila Dandeniya, SUML NGO pic.twitter.com/U9a9SnWhlF
— ANI (@ANI) July 30, 2022
এদিকে, শ্রীলঙ্কার পর্যটনও একেবারে ভেঙে পড়েছে। বর্ষায় শ্রীলঙ্কার প্রকৃতির রূপ দেখতে করোনার আগে গত বেশ কয়েক বছর বিদেশ থেকে পর্যটকের ঢল নেমেছিল। সেই কারণে কলম্বো, ক্যান্ডি সহ দেশের বেশ কিছু জায়গায় বড় হোটেল, পর্যটন কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। কিন্তু দেশের চরম অচলাবস্থা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ায় বিদেশী পর্যটক আসার সম্ভাবনা একেবারে কমে গিয়েছে। কবে থেকে সব কিছু মোটের ওপর স্বাভাবিক হয় তার জন্য অপেক্ষা করছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।
গত কয়েক দিন প্রতিবাদের সুনামি একেবারে আছড়ে পড়ার পর শ্রীলঙ্কা এখন থমথমে। প্রতিবাদ, বিক্ষোভ চরমে ওঠার পর আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্টের বাসভবনের দখল নিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢুকে পড়ল। কিন্তু গোতাবায়া রাজাপাক্ষে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর আন্দোলনের ঝাঁঝ কমেছে। আজ, সোমবার কড়া নিরাপত্তায় খুলল দেশের রাজধানী কলম্বোয় প্রেসিডেন্টের অফিস। ক দিন আগেই শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হন রনিল বিক্রমাসিংহ। তিনি দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার জন্য কিছু সময় চেয়েছেন।