Donald Trump On Qassem Soleimani: 'কাসেম সোলেইমানির হামলার পরিকল্পনার জাল বিস্ত‌ৃতি ছিল দিল্লি পর্যন্ত', চাঞ্চল্যকর দাবি ডোনাল্ড ট্রাম্পের
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কাসেম সোলেইমানি (Photo: Getty Images Wikipedia)

ওয়াশিংটন, ৪ জানুয়ারি: ইরানের শীর্ষ সেনা কমান্ডার কাসেম সোলেইমানি (Qasem Soleimani) যে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন, তার বিস্ত‌ৃতি ছিল দিল্লি (Delhi) ও লন্ডন (London) পর্যন্ত। সোলেইমানির হত্যার সপক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই দাবি করলেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (President Donald Trump )। তিনি বলেন, দিল্লি ও লন্ডনেও সোলেইমানি হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। শুক্রবার বাগদাদ বিমানবন্দরে অ্যামেরিকার বিমান হামলায় নিহত হয় ইরানের শীর্ষ কম্যান্ডার কাসেম সোলেইমানির। হামলায় নিহত হন পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস (Popular Mobilization Forces) নামে পরিচিত ইরান সমর্থিত একটি সংগঠনের উপ কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহান্দিসরেও। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।

সোলেইমানির হত্যাকে সমর্থন করে ট্রাম্প, ইরাকে নিরপরাধ অ্যামেরিকান নির্বিচারে হত্যা করেছে সুলেইমানি। বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসেও তাঁর নির্দেশেই হামলা চালানো হয়। এমনকি দিল্লও লন্ডনেও সুলেইমানি পরিকল্পনা করেছিল বলে দাবি ট্রাম্পের। ট্রাম্প দাবি করেছেন, "অ্যামেরিকা যা করেছে তা অনেক আগেই করা উচিত ছিল। তা হলে অনেকের জীবন বাঁচানো যেত। কয়েক হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারীদের দমনপীড়ন করা হয়েছিল সোলেইমানির নেতৃত্বেই। এক হাজারেরও বেশি নিষ্পাপ মানুষের ওপর অত্যাচার করা হয়েছিল ও মেরে ফেলা হয়েছিল। সোলেইমানির কারণে যাদের মৃত্যু হয়েছে, এতদিনে তাঁদের আত্মার শান্তি হল।" আরও পড়ুন: US Strike At Baghdad Airport: বাগদাদ বিমানবন্দরে অ্যামেরিকার বিমান হামলা, নিহত ইরানের শীর্ষ কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিসহ ৮

ট্রাম্প জানান, যুদ্ধ শুরু করতে নয়, শেষ করতেই সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, "আমরা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য গতরাতে পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা যুদ্ধ শুরু করার জন্য ব্যবস্থা নিইনি। ইরানের জনগণের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। তাঁদের অসাধারণ ঐতিহ্য রয়েছে, তাঁরা সীমাহীন সম্ভাবনার অধিকারী। আমরা সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করি না।" যদিও ট্রাম্প বলেন, "তবে, প্রতিবেশীদের সমস্যা বাড়াতে ইরান ছায়া যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে এই অঞ্চলে। ইরানের শাসকের আগ্রাসনের অবসান ঘটাতে হবে এবং এটি এখনই শেষ হওয়া উচিত। ভবিষ্যত ইরানের জনগণের ওপর নির্ভর করছে। যারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সহযোগিতা চান।"

এদিকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকার মধ্যেই শনিবার নতুন করে হামলা চালায় মার্কিন ড্রোন। ইরাকের আধাসেনা বাহিনী হাশেদ-আল-শবাবির একটি কনভয়ে হামলা চলে। সোলেইমানি ও অন্যান্যদের শেষযাত্রার কয়েক ঘণ্টা আগে দ্বিতীয় হামলাটি চালানো হল। এই হামলায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি ইরাক প্রশাসনের। এখনও পর্যন্ত মৃতদের পরিচয় জানা যায়নি।