দিল্লি, ৩১ ডিসেম্বর: ইয়েমেনে (Yemen) মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে ভারতীয় নার্সের (Indian Nurse)। নিমিশা প্রিয়া নামে ওই ভারতীয় নার্স ইয়েমেনের নাগরিক আলদো মেহেদিকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ। প্রিয়ার পাসপোর্স আটকে রেখেছিলেন আবদো মেহেদি। তাঁর কাছ থেকে পাসপোর্স উদ্ধারের বহু চেষ্টা নিমিশা প্রিয়া করেন কিন্তু কাজ হয়নি। অবশেষে নিমিশা প্রিয়া নামে ওই ভারতীয় নার্স আবদোকে ঘুমের ওভারডোজের ইনজেকশন দিয়ে খুন করেছেন বলে অভিযোগ। আবদোকে খুনের পর নিমিশা ভারতে পালানোর চেষ্টা করলে, ইয়েমেনের পুলিশ তাঁকে আটক করে।
কেরলের (Kerala) পালাক্কাডের বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়ার মা প্রেমা কুমারী মেয়েকে বাঁচানোর জন্য বিদেশ মন্ত্রকের দ্বারস্থ হন। বিদেশ মন্ত্রকের তরফেও যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে নিমিশার মৃত্যুদণ্ড রোধ করতে। ইয়েমেনি প্রেসিডেন্ট নিমিশার মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিতেই বিদেশ মন্ত্রকের (MEA) মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বিবৃতি প্রকাশ করেন। নিমিশাকে রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
২০০৯ সাল থেকে ইয়েমেনে নার্সের চাকরি করেন নিমিশা। ২০১৫ সালে তালাল আবদো মেহেদি নামে এক ইয়েমেনি নাগরিকের সঙ্গে একটি ক্লিনিক খোলেন নিমিশা। ২০১৭ সাল থেকে মেহেদির সঙ্গে নিমিশার গন্ডগোল শুরু হয় ক্লিনিকের টাকাপয়সা নিয়ে। এরপর মেহেদি নিমিশার পাসপোর্ট আটকে রাখলে, সেই গন্ডগোল চমে ওঠে। নিমিশা পাসপোর্ট উদ্ধারের চেষ্টা করেও বিফল হন। এরপরই তিনি মেহেদিকে খুন করেন বলে অভিযোগ। প্রিয়ার পরিবারের তরফে তালাল মেহেদির পরিবারকে বিপুল অঙ্কের অর্থ দেওয়ার প্রসাতব দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত কোনও কাজ হয়নি বলে খবর।