নতুন দিল্লি, ২৩ সেপ্টেম্বর: বেশ কয়েকমাস ধরে পূর্ব লাদাখে ইন্দো-চীন সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। দিন যত এগোচ্ছে ততই সীমান্ত এলাকায় সাঁজোয়া ট্যাঙ্কে ভরিয়ে দিচ্ছে চিন। ভারতও কম যায় না, যুদ্ধবিমান রাফাল উড়ে গিয়েছে লাদাখের উদ্দেশে। এদিকে যুদ্ধের দামামার আঁচ পেয়ে লাদাখ সীমান্তে সেনা মোতায়েন বাড়িয়েই চলছে চিনি। ভারতের সঙ্গে লালফৌজের (PLA Soldiers) খুব শিগগির যুদ্ধ লাগবে, এমন খবরে ছেয়েছে চিন ও তাইওয়ানের সংবাদ মাধ্যমগুলো। আসন্ন ভারত-চীন যুদ্ধের কল্পনায় রীতিমতো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে এই দুই এলাকার সংবাদ মাধ্যমগুলি। একের পর এক খবর হচ্ছে এনিয়েই। স্বাভাবিকভাবে যুদ্ধের আশঙ্কায় রীতিমতো চোখে সর্ষের ফুল দেখছে চিনের পিপল লিবারেশন আর্মি। যুদ্ধ হলে রক্তক্ষরণ নিশ্চিত। তাই লালফৌজের সেনা কেঁদে ফিরছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আরও পড়ুন- Dadi Of Shaheen Bagh: TIME ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের তালিকায় এবার শাহীন বাগের অশীতিপর দাদি
পাকিস্তানি নাগরিক তথা সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলার জাহিদ হামিদ নিজের টুইটারে লালফৌজের সেনার কান্নাকাটির ভিডিও শেয়ার করতেই তা টুইটারে ভাইরাল হয়ে যায়। যদিও ভিডিওর ক্যাপশনে জাহিম হামিদ লিখেছেন, “আমরা পাকিস্তানিরা তোমায় সমর্থন করি চিন। সাহস রাখো।” তাঁর পোস্ট দেখে স্প্ষ্টতই বোঝা যাচ্ছে যে পিএলএ বাহিনীকে ঠাট্টা করছেন তিনি। তাইওয়ান নিউজ সূত্রের খবর, ভিডিওতে কান্নাকাটি করা চিনা সেনারা স্বেচ্ছায় তিব্বতে সেনাবাহিনীর ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁরা সবে সবে কলেজ পাশ করেছেন। এদিকে তিব্বতের কাছে ভারত চীনের সীমান্তবর্তী এলাকা লাদাখ, যুদ্ধ শুরু হলে যে কোনওদিন সেখানে তাঁদের মোতায়েন করা হতে পারে, এই আশঙ্কাতেই চলছে কান্নাকাটি। এই ভিডিওটি ফুয়াং রেলস্টেশনের। তিব্বতে কাজ করে আসা এই সেনাবাহিনীকে হেবেই প্রদেশের সেনাক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার তোরজোর চলছে। এই নতুন নিয়োগ পাওয়ার সেনার দল চিনের আনহুই প্রদেশের ইংঝউ জেলার বাসিন্দা। চিনা নেটিজেনরাই পিএলএ সৈন্যদের কান্নাকাটির ভিডিওটি পোস্ট করেছিল। সেটিই নতুন কের পোস্ট করে তাইওয়ানের সংবাদ মাধ্যম। ভিডিও শেয়ারের পাশাপাশি চিনা ভাষাতেই লেখা হয় ক্যাপশন। এই সেনাদের বলা হয়েছে বাস এলেই তাদের গন্তব্যে নিয়ে যাওা হবে। আর সেই গন্তব্য হল যুদ্ধক্ষেত্র। এরপর থেকেই সেনার দল কামানের গোলা খায়ার ভয়ে কেঁদে চলেছে।
লাদাখে যুদ্ধের ভয়ে কাঁদছে চিনা সেনা
上车后被告知上前线
炮灰们哭的稀里哗啦!pic.twitter.com/wHLMqFeKIa
— 自由的鐘聲🗽 (@waynescene) September 20, 2020
তাইওয়ানের সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় চিনের সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের সাফাই যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়ার ভয়ে মোটেই চিনা সেনারা কাঁদছেন না। চিনা সৈন্যদের প্রখ্যাত গান গাওয়ার সময় তাঁর আবেগ তাড়িত হয়ে পড়ায় চোখ জল এসেছে।