জাপানেই জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। তবে এবার তাকে ফিরতে হবে তার নিজের দেশ চিনে । আর তাই শেষ মূহূর্তের দেখা দেখতে জাপানের চিড়িয়াখানায় ভিড় বহু মানুষের। জিয়াং জিয়াং নামের ওই পান্ডাকে দেখতে রীতিমতো ভিড় জমিয়েছেন ইনো চিড়িয়াখানায়।
অনেকেরই দেখার ইচ্ছে থাকলেও শেষ পর্যন্ত চিড়িয়াখানায় ঢুকতে দেওয়া হয় ২৬০০ জনকে।যদিও জাপানে বেড়ে ওঠা তবুও নিয়মের বেড়াজালে ছোট্ট জিয়াং জিয়াংকে ফিরতে হচ্ছে তার নিজের দেশ চীনে। আর এই বিদায়বেলায় তাকে চোখের জলে বিদায় জানাচ্ছেন অনেকেই। টোকিওতে বড় হলেও তার বাবা মা কিন্তু চীনেই। রবিবার দশটি গ্রুপে ভাগ হয়ে একে একে ছোট্ট পান্ডার দর্শন নেন জাপানিজরা।তবে এত সব হুল্লোড়ের মধ্যে তার কোন হেলদোল নেই। সে তো শুধু বাঁশের পাতা চিবোতেই ব্যস্ত।
জাপান ও চিনের মধ্যে রাজনীতির বিভেদ থাকলেও দু দেশের মানুষের কাছেই পান্ডা এক বন্ধুত্বের রুপ স্বরুপ। মঙ্গলবার জিয়াং জিয়াংকে নিয়ে চিনে রওনা দেবেন জাপানের চিড়িয়াখানার ২ কর্মাচারী।শিঞ্চুয়ান প্রভিন্সে অন্যান্য পান্ডাদের সঙ্গে যোগ দেবে ছোট্ট জিয়াং জিয়াং বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি আরও পান্ডা রয়েছে জাপানের সেন্ট্রাল চিড়ায়াখানায় যাকে ১৯৯৪ সালে চিন থেকে জাপানে পাঠানো হয়েছিল। তার দুই সন্তান ওউহিন এবং তৌহিনকে বুধবার চিনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্বে অন্যান্য জীবজন্তুদের মধ্যে বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণী এই পান্ডা ।
চুক্তি অনুযায়ী চিন থেকে জাপানে পান্ডা পাঠালেও তাদের বা তাদের বাচ্চাদের ওপর অধিকার চিনেরই থাকে। তাই চিড়িয়াখানায় পান্ডা থাকার সময় তাদের বাচ্চাদেরকে পুনরায় তাদের আসল স্থান চিনের শিঞ্চুয়ান প্রভিন্সে পাঠানো হয়।
Thousands of Japanese fans, some wiping away tears, bid farewell to a beloved Japanese-born giant panda that has made her final public appearance before flying to her home country, China. https://t.co/JpJbZTHRtW
— The Associated Press (@AP) February 20, 2023