লস এঞ্জেলস, ১৫ নভেম্বর: মার্কিন মুলুকে ফের বন্দুকবাজের হানা। এবার ঘটনাস্থল লস এঞ্জেলেস থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের সগস হাইস্কুল (California Saugus High School)। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল আটটা নাগাদ যখন স্কুল চত্বরে প্রতিদিনকার রোজনামচা শুরু হচ্ছে তখন আচমকাই স্যান্টা ক্ল্যারিটার (Santa Clarita) ওই স্কুল চত্বরে ঢুকে পড়ে গুলি চালাতে শুরু করে এক আগন্তুক। আচমকা গোলাগুলির মুখে পড়ে অনেকেই আহত হয়েছেন। চারিদিকে আর্ত চিৎকারের মাঝেই সেখান থেকে উধাও হয়ে যায় বন্দুকবাজ। এদিকে আহতদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা চলাকালীন একজনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকল শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত সাতজনের গায়ে গুলি লাগার খবর মিলেছে। গোটা এলাকা জুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি হয়েছে।
লস এঞ্জেলেসের কাউন্টি শেরিফের দপ্তর থেকে রীতিমতো সতর্ক বার্তা প্রচারিত হচ্ছে বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে। সাত সকালে এলাকায় কালো পোশাক পরিহিত এক বন্দুকবাজ ঢুকে পড়েছে। তার এলোপাথাড়ি গুলিতে এখনও পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত সাত। সবাই যেন নিজেদের বাড়ির দরজা জানলা ভালভাবে বন্ধ করে রাখেন। এদিক বন্দুকবাজের চেহার দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে এশীয় বলেই শনাক্ত করেছে। ইতিমধ্য়েই বন্দুকবাজকে গ্রেপ্তার করেছে লস এঞ্জেলেসের পুলিশ। স্যান্টা ক্ল্যারিটা ভ্যালি শেরিফের দপ্তর থেকে টুইট বার্তায় জানানো হয়, 'সক্রিয় বন্দুকবাজের হামলা হয়েছে। সগস হাইস্কুলের কাছাকাছির বাসিন্দারা দয়া করে বাড়ির সব দরজা বন্ধ রাখুন এবং ভিতরে থাকুন। যদি বাড়ির আশপাশে কালো পোশাক পরা সন্দেহজনক কোনও তরুণকে দেখতে পান, অবিলম্বে ৯১১ নম্বরে ফোন করুন।' পরের টুইটে বলা হয়, অভিভাবকরা আতঙ্কিত হবেন না আপনাদের বাচ্চাদের নিরাপদে উদ্ধার করে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে। স্কুলের মধ্যে থেকে এখনও গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আরও পড়ুন-Indian Expat Arrested by Sharjah Police: সোশ্যাল মিডিয়ার মহিমা, শারজা’য় আক্রান্ত গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ
এদিকে সাতসকাল গোলাগুলির খবরেই গোটা স্যান্টা ক্ল্যারিটার সমস্ত স্কুল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। মূলত নিরাপত্তার খাতিরেই এই বন্দোবস্ত করা হল। কান্ট্রি শেরিফ অ্যালেক্স ভিলানুয়েভা আরও এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন বন্দুকবাজকে আটক করা হয়েছে। গুলি লাগায় আপাতত হাসপাতালেই বন্দিদশায় চিকিৎসা চলছে তার। এলাকায় চাঞ্চল্য রয়েছে। স্কুল চত্বরে তিনটি অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছেছে। হোয়াইট হাউস থেকে গোটা ঘটনার উপরে নজর রেখেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।