শারজা, ১৪ নভেম্বর : স্বামী মেরে নাক মুখ ফাটিয়ে দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বধূ নির্যাতনের ভয়াবহ ভিডিও শেয়ার হয়েছিল। ঘটনাটি ইউনাইটেড আরব এমিরেটসের শারজা-র। অত্যাচারিত গৃহবধূ জেসমিন সুলতানা বেঙ্গালুরু বাসিন্দা। তিনি যে ভিডিওটি পোস্ট করেছিলেন, তাতে তাঁর চোখ ফোলা, রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। তিনি অঝোরে কাঁদছেন আর দেশে ফেরার জন্য দিল্লি পুলিশ ও দূতাবাসের সাহায্য চাইছেন।সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করল শারজা পুলিশ (Sharjah Police)। গতকাল। আক্রান্ত জেসমিনের টুইট দেকেই পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। বুধবার রাতে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হয় জেসমিনের স্বামী মহম্মদ খিজার উল্লা (৪৭)।
গালফ নিউজ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ৩৩-এর গৃহবধূ জেসমিন সুলতানা অনেকদিন ধরেই শারজা নিবাসী। সাত বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়। পাঁচ বছর ও ১৭ মাসের দুই পুত্র সন্তান রয়েছে তাঁদের। অভিযোগ, গত ফেব্রুয়ারি মাসে মারধর করে পাসপোর্ট ও তাঁর যাবতীয় গয়না কেড়ে নেয় খিজার উল্লা। এনিয়ে পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন ওই গৃহবধূ। তবে থানায় জানানোর বিষয়টি মোটেই ভাল চোখে দেখেনি খিজার উল্লা। তারপর থেকেই গৃহবধূর উফরে নেমে আসে অমানুষিক অত্যাচারের খাঁড়া। যখন তখন তাঁকে বেধড়ক মারধর করা থেকে শুরু করে ঘরে আটকে রাখা খাবার না দেওয়া, সবই চলত। এমনকী শিশুপুত্রদের মুখেও তিনি খাবার তুলে দিতে পারছিলেন না। পাসপোর্ট নেই যে দেশে ফেরার আবেদন করবেন। কাছে টাকা পয়সাও নেই। তাই শেষ অস্ত্র ছিল সোশ্যাল মিডিয়া। সেখানেই নিজের য্ন্ত্রণার কাহিনী তুলে ধরেন জেসমিন। আরও পড়ুন-Bangladesh Train Accident: বাংলাদেশে ২টি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, মৃত ১৬; আহত শতাধিক
তিনি সহযোগিতা চান, অত্যাচারী স্বামীর হাত থেকে বাঁচতে বাবা-মায়ের কাছে বেঙ্গালুরুতে ফিরতে চান তিনি। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই বিপদে পড়ে যায় খিজার উল্লা। ততক্ষণে সারা বিশ্ব জেনে গেছে তার কুকীর্তি, পুলিশ তাকে শ্রীঘরে নিয়ে গিয়েছে। তবে এই ধরনের ভিডিও শেয়ার হলে জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তাই এই ভিডিও শেয়ারে রাশ টানতে উদ্যোগী হয়েছে শারজা পুলিশ।