সিওল, ২৪ আগস্ট: উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম-জং-উনকে (Kim Jong Un) মৃত। ইউরোপের প্রথম সারির এক সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে একথাই বললেন পিয়ং ইংয়ের এক বিশেষজ্ঞ। স্বৈরাচারী নেতা কিম-জং-উন কোমায় চলে গেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন কূটনীতিকের ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই সংবাদ মাধ্যমকে একথা বলেন ওই বিশেষজ্ঞ। হতো দাদার অবর্তমানে উত্তর কোরিয়ার দণ্ডমুণ্ডের মালকিন হতে চলেছেন কিম-জং-উনের বোন কিম-ইও-জং। যদিও দীর্ঘদিন উত্তর কোরিয়ায় বসবাসকারী লেখক রয় ক্যালে তাঁর সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা স্বরূপ একটি বই ইতিমধ্যেই লিখে ফেলেছেন। তিনি ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, কোমায় নয় কিমের মৃত্যু হয়েছে। তবে পিয়ংইয়ং প্রশাসন যেনতেন প্রকারেণ সেই খবর গোপনে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে ক্যালে বলেন, “আমি ভীষণভাবে বিশ্বাস করি যে কিমের মৃত্যু হয়েছে। তবে ওই দেশে থেকে সেকথা বলতেই পারবেন না। এই খবর তখনই প্রকাশ্যে আসতে পারে যখন উত্তর কোরিয়ার শাসনভার পুরোপুরি ভাবে কিমের বোন কিম-ইও-জং-এর হাতে চলে যাবে।” রয় ক্যালে হল সেই সাংবাদিক যিনি “Look With Your Eyes and Tell The World” বইটি লিখেছেন। তিনিই ইওরোপীয় সংবাদ পত্রকে এখ চাঞ্চল্যকর খবরটি জানান। প্রয়াত দক্ষিণ কোরিয়ান প্রেসিডেন্ট কিম –ডে-জাংয়ের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক চ্যাং সং মিন জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়েছি যে কিম-জং-উন কোমায় রয়েছেন। তিনি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছেন। সামনে থেকে দেশকে পরিচালনা করার কোনও ক্ষমতাই এখন তাঁর নেই। এই কারমেই দেশের বেশকিছু ক্ষমতা ইতিমধ্যেই কিমের বোনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন-Arun Jaitley First Death Anniversary: ‘আমি আমার বন্ধুকে খুব মিস করি’, অরুণ জেটলির প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে স্মৃতিমেদুর প্রধানমন্ত্রী
এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে চ্যাং বলেন, “আমি মনে করি কিম-জং-উন এখনও মারা যাননি, তিনি কোমায় চলে গিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার শাসনভার গ্রহণের জন্য সম্পূর্ণ উত্তরাধিকারের পরিকাঠামো তৈরি হয়নি। এদিকে কিমের পক্ষে আর উত্তর কোরিয়ার শাসন ক্ষমতা ভোগ করার উপায় নেই। এদিকে বেশিদিন শাসকের চেয়ার ফাঁকা রাখাও সম্ভব নয়। তাই বোন কিম-ইয়ো-জংকেই সামনে আনার চেষ্টা চলছে।” ২০১১ সালে বাবা দ্বিতীয় কিম-জং-এর মৃত্যু হলে উত্তর কোরিয়ার শাসকের পদে বসেন বছর ৩৬-এর কিম-জং-উন। এখন তাঁর বোনের বয়স ৩২। শীতকালে অলিম্পিকের সময় পিয়ংইয়ংরে সরাকরি প্রতিনিধি হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় এসেছিলেন কিম-ইয়ো-জং। এই খবর আন্তর্জাতিক শিরোনামও হয়। শুধু তাই নয়, যুদ্ধপ্রবণ প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কের যে বরফ জমেছিল, তাও গলে যায়।