Milla Magee Miss England. (Photo Credits: X)

এবার 72তম বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতা (Miss World Pagenat 2025) আয়োজিত হচ্ছে হায়দরাবাদে। আর চারমিনারের শহরের বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় বড় বিতর্ক। সুন্দরী প্রতিযোগিতার নামে আয়োজকরা মডেলদের অপমানিত করছেন, পণ্য হিসেবে ব্যবহার করছেন বলে প্রতিযোগিতা থেকে মাঝপথে সরে দাঁড়ালেন মিস ইংল্য়ান্ডের শিরোপা জিতে এখানে আসা মিল্লা ম্যাগি (Milla Magee)। বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এই প্রথম কোনও প্রতিযোগী এইবাবে নিজেকে মাঝপথে নিজের নাম প্রত্যাহার করলেন।

রিংয়ে বাঁদরের যেমন করা হয়, তাদের সঙ্গে বিউটি কনটেস্টে তেমন চলছিল

মিস ইংল্যান্ডের বিস্ফোরক দাবি, সুন্দরী প্রতিযোগিতায় আয়োজকরা তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করছিলেন, যে কারণে তাঁর নিজেকে দেহব্যবসায়ী বলে মনে হচ্ছিল। সার্কাসে বাঁদরদের যেরকমভাবে পারফম করানো হয়, হায়দরাবাদে বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় আয়োজকরা তেমন ব্যবহারই করছেন বলে ব্রিটিশ সুন্দরী মিল্লা ম্যাগি দাবি করেন। গত ৭ মে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ভারতে এসছিলেন তিনি। এরপর কিছু পাবলিসিটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে ১৬ মে মাঝপথে নিজের নাম প্রত্যাহার করে ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যান মিল্লা। এরপর দেশে পৌঁছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে এমন বিস্ফোরক সব দাবি করেন মিস ইংল্য়ান্ড।

ধনবান পুরুষ স্পন্সরদের সন্ধ্যাকালীন বিনোদন করতে হত!

২৪ বছরের ৬ ফুট লম্বা সুন্দরী ইংল্যান্ডের ম্যাগির অভিযোগ, " ধনবান পুরুষ স্পন্সরদের সামনে তাদের এমনভাবে প্যারেড করানো হচ্ছিল, যেন তারা কোনও পণ্য। নির্দেশ ছিল, আমরা যেন সারা সন্ধ্য়া শুধু তাদের বিনোদন করে যাই। এটা ভাবতে খুব খারাপ লেগেছে। আমি এখানে শুধু মানুষদের ফ্রেমবন্দি বিনোদনের খোরাক নয়। সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা মানে কখনই এমন নয়।" ম্যাগি এরপর সরাসরি বলেন, "আমার ওখানে (বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা) থেকে মনে হচ্ছিল ব্যবধান গড়ার মত কিছুই নয়। প্রতিযোগিরা সবাই আসলে পণ্য। সকালে ব্রেকফাস্ট টেবল থেকে ডিনার, সারাদিন ভাল পোশাক পরে, পুরো মেকআপ করে ঘুরে যেতে হচ্ছে আয়োজকদের নির্দেশে। আমরা ঠিক সার্কাসের বাঁদরের মত পারফম করতে হত, যেখানে বসতে বলতো হত বসতে হতো, যখন দাঁড়াতে বলতো, দাঁড়াতে হতো। ওদের আচরণে মনে হত আমরা যৌনতাবৃত্তি করছি। "

দেখুন খবরটি

 

মিস ইংল্যান্ড মিল্লা ম্যাগি

বিস্ফোরক অভিযোগ ম্যাগির

তাঁর অভিযোগকে আরও গভীরে নিয়ে গিয়ে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া মিস ইংল্যান্ড বললেন, " ধনবান স্পন্সর অতিথিদের সঙ্গে সময় কাটানোটা আমাদের টাস্ক ছিল। যেখানে প্রতিটি টেবলে ৬ জন করে অতিথি থাকেন, তার দুজন করে মেয়েদের সেই টেবলে বসে থেকে তাদের বিনোদন করে যেতে হয়। সারা সন্ধ্যা ধরে ওদের বিনোদন করে চলাই ছিল আমাদের কাজ। আমি নিজেকে বিনোদনের খোরাক বানাতে চাই নি, তাই যায়নি।"ইংল্যান্ডের সুন্দরী মিল্লা এমনও অবিযোগ করেন, প্রতিযোগিতার আলোচনাচক্রে তিনি চ্যারিটি সংক্রান্ত বিষয় সংক্রান্ত বিষয়ে বলতে গেলে, সেখানকার ধনবান পুরুষ স্পন্সরা তাকে এমনসব কথা বলতো যেটা তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলত। মিস ইংল্য়ান্ডের সাফ কতা, যেভাবে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে সেরা সুন্দরী বেছে নেওয়া হয়, সেই প্রক্রিয়াটি এখন বেশ পুরনো হয়ে গিয়েছে। বেশ বোরিং। মহিলারা এখন অনেক এগিয়ে গিয়েছে। সুন্দরী প্রতিযোগিতায় মহিলাদের পণ্য বানিয়ে প্রদর্শন করাটা অপমানের।