কী বলল ইরান?(Photo Credit: Twitter)

তেহরান, ২২ জুলাই: মার্কিন গুপ্তচরদের (CIA) মুঠোবন্দি করে ফেলেছে ইরান। একজন দুজন নয়, একেবারে ১৭জনকে। ধৃত গুপ্তচরদের বেশ কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে সেদেশের আদালত। এহেন খবর প্রকাশ্যে আসতেই আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে। এদিকে এমন জ্বালাময়ী তথ্য পেয়েও রা কাড়েনি ওয়াশিংটন। এমনিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (US) বিরুদ্ধে গোপনে নজরদারীর অভিযোগ এনেছে তেহরান। গতমাসেই এক মার্কিন ড্রোনকে গুলি করে নামায় ইরানি সেনা। অভিযোগ, ইরানের আকাশ সীমায় ঢুকে পড়ে ড্রোনটি রীতিমতো নজরদারী চালাচ্ছিল। সেই বিপদ কাটতে না কাটতেই গত মাসে একদল মার্কিন গুপ্তচরকে ধরে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী। আরও পড়ুন-কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ড প্রসঙ্গে ভারতকে সমর্থন করল আন্তর্জাতিক আদালত

তেহরানের (Tehran)অভিযোগ, ধৃতেরা প্রত্যেকেই মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র সক্রিয় সদস্য। মার্কিন প্রশাসনের নির্দেশেই ওই সদস্যরা ইরানে এসে গোপন খবর সংগ্রহ করছিলেন। গুপ্তচরদের প্রত্যেকেমোটেই আমেরিকান নন, অনেকেই সংযু্ক্ত আরব আমীরশাহীর বাসিন্দা। মার্কিন প্রশাসন মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের দিয়ে গুপ্তচরগিরি করাচ্ছে। ইরানের অর্থনীতি, পরমাণু প্রযুক্তি, পরিকাঠামো, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সংবেদনশীল বিষয়ে গোপন তথ্য সংগ্রহ করাই ওয়াশিংটনের লক্ষ্য। সেসব কাজই অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করছিল এই গুপ্তচরের দল। তবে তেহরানের গোয়েন্দা সংস্থাও যথেষ্ট সংক্রিয়, তাদের কাছে খবর থাকায় সিআইএ-র গোটা টিমটাই ধরা পড়ে যায় জুনেরমাঝামাঝি সময়ে। এই প্রসঙ্গে আমেরিকা মুকে কুলুপ আঁটলেও সোমবার ইরানের সংবাদমাধ্যমের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের সরকার কিছুদিন আগেই আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র ১৭ জন চরকে ধরেছে। প্রত্যেকের বিচারও করা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।, যা খুব শিগগির কার্যকর করা হবে।

গত জুন মাসে ইরান দাবি করে, সিআইএ-র একটি চরচক্র তারা ধরে ফেলেছে। সোমবার তেহরান থেকে সেই চক্রের গুপ্তচরদের ধরার কথা বলেছে কিনা স্পষ্ট নয়। গত মে মাসে ইরানের ওপরে আমেরিকা ও অন্যান্য পশ্চিমী দেশ আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গত সপ্তাহে ইরান একটি ব্রিটিশ ট্যাঙ্কার আটক করে। তার আগে ৪ জুলাই ইরানের একটি ট্যাঙ্কার আটক করেছিল ব্রিটেন। এতকিছুর পরেওনির্বাক ওয়াশিংটন।