MSC Aries seized by Iran (Photo Credits: X)

ইজরায়েল-ইরানের হামলামুখী পরিস্থিতিতে প্রবল চাপে ভারত। শনিবার গভীর রাতে আকশপথে ইজরায়েল (Israel) ভূখণ্ডে ড্রোন হামা চালায় ইরান (Iran)। প্রায় ২০০টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছিল তেহরান (Tehran)। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পালটা হামলার হুঁশিয়ারি ছুড়েছিল নেতানিয়াহুর দেশ। তবে আপাতত যুদ্ধ পরিস্থিতি কিছুটা হলেও এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে ইরান সেনাবাহিনীর বিবৃতি মারফত জানা যাচ্ছে। এদিকে ইরান সেনাবাহিনীর কাছে 'বন্দি' ভারতীয় নাবিকদের দেশে ফেরাতে তৎপর হয়ে পড়েছে নয়া দিল্লি। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বিষয়টি নিয়ে ফোনে যোগাযোগ করেছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমির আবদোল্লাহিয়ানের সঙ্গে। সোমবার বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, 'বন্দি' ভারতীয় নাবিকদের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দিয়েছে ইরান।

গত ১৩ এপ্রিল শনিবার হরমুজ প্রণালীতে MSC অ্যারিজ নামে একটি ইজরায়েলি জাহাজ আটক করেছিল ইরানের বিশেষ সেনাবাহিনী। সেই সময়ে জাহাজে ছিল ২৫ জন নাবিক। তাঁদের মধ্যে ১৭ জনই ভারতীয়। এরই মাঝে শনিবার রাতে আকশপথে ইজরায়েলের দিকে কয়েকশো ড্রোন নিক্ষেপ করে ইরান। মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশে ক্রমে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। যুদ্ধের আগেই যাতে ইরানে 'বন্দি' ভারতীয় নাবিকদের ফিরিয়ে আনা যায় ক্রমাগত সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নয়া দিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের তরফে নাবিকদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

ইরানের হামলার পর রবিবার রাতে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে একটি ক্যাবিনেট বৈঠকের আয়োজন করেছিল ইজরায়েল প্রশাসন। বৈঠকে পালটা হামলার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। গাজায় আক্রমণ যেমন ইজরায়েলের কাছে তেমন কঠিন ছিল না, ইরানের ক্ষেত্রে ঠিক তার উলটো। কারণ তেহরানের সামরিক শক্তি বেশ মজবুত। তার উপর রাশিয়া, চিনের সরাসরি সামরিক সাহায্য পাবে ইরান। তাই আপাতত যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দাঁড়ি পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।