দিল্লি, ১৪ অক্টোবর: মারা গেলেন বিপিন যোশী (Bipin Joshi)। গত ২ বছর ধরে হামাসের (Hamas) কবলে থাকার পর শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বিপিন। নেপালি (Nepali Student) ছাত্র বিপিন যোশী পড়াশোনার জন্য ইজরায়েলে (Israel) গিয়েছিলেন। বিপিন ইজরায়েলে পড়াশোনা করতে গিয়ে মাত্র ২৫ দিন ছিলেন সেখান, তার মাঝেই ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস হামলা চালায়। আর ওই হামলার জেরেই বিপিনকে পণবন্দি করে গাজ়ায় (Gaza) নিয়ে যায় হামাস। হামাসের কবলে থেকে শেষ পর্যন্ত মরতে হল বিপিন যোশীকে (Hindu Hostage Death)। কীভাবে বিপিনের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে এখনও কোনও খবর জানা যায়নি।
গাজ়ায় শান্ত চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর সোমবার ২০ জন পণবন্দিকে ছাড়া হয় হামাসের তরফে। যা নিয়ে ইজরায়েলে উৎসব শুরু হয়। ২০ জন পণবন্দিকে হামাস ছাড়লেও, ২৩ বছরের বিপিনকে মুক্ত করা হয়নি। তারপর থেকেই শঙ্কা বাড়তে শুরু করে। জানা যায়, হামাস নিয়ন্ত্রিত অন্ধ কূপে থাকতে থাকতেই মৃত্যু হয়েছে বিপিন যোশীর।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস যখন ইজরায়েলে হামলা চালায়, সেই সময় বিপিন ছিলেন মাত্র ২২ বছরের। কৃষি নিয়ে পড়তে ইজরায়েলের কিববুজ় আলুমিমে যান বিপিন, যা গাজ়া সীমান্তের খুব কাছে। ওই সময় হামাস হামলা চালালে, ইজরায়েলিদের সঙ্গে বিপিনকেও ধরে নিয়ে যায় প্যালেস্তিনীয় জঙ্গি গোষ্ঠী।
বিপিন ইজরায়েলি ছিলেন না। এমনকী হামাসের হাতে পাকড়াও হওয়া পণবন্দিদের মাঝে একমাত্র বিপিনই ছিলেন হিন্দু।
সেই নেপালি ছাত্র বিপিনের মৃতদেহ সোমবার রাতে হামাস ইজরায়েলি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়। ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক থেকে এরপর পিপিনের মৃতদেহ তেল আভিভে নিয়ে যাওয়া হয় বলে নেপালের রাষ্ট্রদূত জানান।
ইজরায়েলের সেনা মুখপাত্র জানান, হামাসে যেকজন পণবন্দির দেহ ফেরৎ দিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছেন বিপিনও। ডিএনএ পরীক্ষা করে, নেপালের দূতাবাসকে বিপিনের দেহ হাস্তান্তর করবে ইজরায়েল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এমন তথ্যই প্রকাশ্যে আসছে।