গাজার হাসপাতালে বিস্ফোরণের জেরে কমপক্ষে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে প্রায় গোটা বিশ্বে চাঞ্চল্য ছড়াতে শুরু করেছে। গাজা হাসপাতালে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর ইজরায়েলের দিকে আঙুল উঠতে শুরু করেছে। যা নিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে। তবে গাজার হাসপাতালে বোমা বিস্ফোরণের জন্য ইজরায়েল দায়ি নয়। ইসলামিক জিহাদ এর জন্য দায়ি। ইসলামিক জেহাদের সদস্যরা যে রকেট উৎক্ষেপণ করে, তা ব্যর্থ হয়। ইসলামিক জেহাদের সেই রকেট উৎক্ষেপণের ব্যর্থতার জেরেই গাজার হাসপাতালে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তথ্যের ভিত্তিতে এই দাবি করা হচ্ছে। গাজা হাসপাতালে বিস্ফরণের পর এমনই দাবি করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে এমনই দাবি জানিয়ে একটি ট্যুইট করেন। যা নিয়ে ফের শোরগোল শুরু হয়। তবে গাজা হাসপাতালের ভয়াবহ বিস্ফোরণ ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসের বিরোধকে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল।
An analysis of IDF operational systems indicates that a barrage of rockets was fired by terrorists in Gaza, passing in close proximity to the Al Ahli hospital in Gaza at the time it was hit.
Intelligence from multiple sources we have in our hands indicates that Islamic Jihad is…
— Benjamin Netanyahu - בנימין נתניהו (@netanyahu) October 17, 2023
অন্যদিকে বুধবার ইজরায়েলের দিকে রওনা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইজরায়েলে পৌঁছে যেমন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বাইডেন, তেমনি যুদ্ধ সামাল দেওয়ার জন্য যে মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে, সেখানকার সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হামাস নিধনে ইজরায়েলের পরিকল্পনা কী, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
গাজার হাসপাতালে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে প্রায় ৫০০ জন প্যালেস্তিনীয়র প্রাণ গিয়েছে। যা নিয়ে প্রায় গোটা বিশ্ব জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। গাজার হাসপাতালে হামলা নিয়ে উদ্বিগ্নও জো বাইডেনও। ফলে হামাস নিধনে ইজরায়েলের পরিকল্পনা কী, সে বিষয়ে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কাছে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ বাইডেন নেবেন বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: Israel-Hamas War: 'সময় শেষ', গাজার হাসপাতালে বিস্ফোরণের পর ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সুর চড়াল ইরান
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিব্রি বলেন, ইজরায়েলের খুব ভাল বন্ধু আমেরিকা। তা সত্ত্বেও ইজরায়েলকে গাজা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বেশ কিছু কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানান কিব্রি। বাইডেন তেল আভিভে পৌঁছনোর পর ইজরায়েলের যুদ্ধের মানচিত্র দেখতে চাইবেন এবং তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে তথ্য সংগঠিত করবেন বলে জানান হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র।
গত ৭ অক্টোবর ইজরালেরে হামলা চালায় হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। যার জেরে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। ৭ অক্টোবরের হামলার পর ইজরায়েল পালটা প্রত্যাঘাত করে। হামাস জঙ্গি নিধনে গাজায় একের পর এক হামলা চালাতে শুরু করে ইজরায়েল। এমনকী হামাসকে গোটা পৃথিবী থেকে ধ্বংস করে দেওয়া হবে। হামাস নিধন না হওয়া পর্যন্ত গাজাকে সবদিক থেকে অবরুদ্ধ করে দেওয়ার ডাকও দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।