গাজার হাসপাতালে ইজরায়েল বোমাবর্ষণ করতেই নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু করেছে। গাজার হাসপাতালে বোমাবর্ষণের জেরে কমপক্ষে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই ইরানের যে দূতাবাস সিরিয়ায় রয়েছে, তার তরফে সুর চড়ানো হয়। এমনকী, সময় শেষ বলেও করা হয় কড়া মন্তব্য। সিরিয়ায় ইরানের যে দূতাবাস রয়েছে, তার ট্যুইটার হ্যান্ডেলের তরফে বিষয়টি নিয়ে জোরদার বিরোধিতা করা হয়। মঙ্গলবার ইরানের প্রধান ধর্মগুরু আয়তুল্লা আলি খোমেইনি বলেন, ইজরায়েল যদি গাজায় হামলা বন্ধ না করে, তাহলে ভুগতে হবে। গাজায় যদি ইজরায়েলের হামলা বন্ধ না হয়, তাহলে গোটা মুসিলম বিশ্ব রুখে দাঁড়াবে বলেও মন্তব্য করতে শোনা যায় আয়তুল্লা আলি খোমেইনিকে। ইরানের প্রধান ধর্মগুরু সুর চড়ানোর পরপরই এবার গাজার হাসপাতালে বিস্ফোরণের জেরে ফের ইরানের মুখে শোনা যায় কড়া মন্তব্য।
সম্প্রতি সিরিয়ার দামাস্কাস বিমানবন্দরে হামলা চালায় ইজরায়েল। দামাস্কাস বিমানবন্দরে হামলার জেরে সিরিয়ার দিক থেকে বিমান ঘুরিয়ে দেশে ফিরতে হয় ইরানের বিদেশমন্ত্রীকে। দামাস্কাস বিমানবন্দরে ইজরায়েলি হামলার জেরে কোনও হতাহতের খবর না মিললেও, বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। যা নিয়ে ফের জোর চর্চা শুরু হয়।
অন্যদিকে ইজরায়েলকে বর্তমানে পড়শি দেশ লেবাননের সঙ্গেও লড়তে হচ্ছে। লেবানন সীমান্ত থেকে ইজরায়েলের দিকে রকেট, মর্টার ছুঁড়তে শুরু করেছে হেজবুল্লা জঙ্গি গোষ্ঠী। হামাসের পাশাপাশি বর্তমানের ইরানের মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী হেজবুল্লার সঙ্গেও ইজরায়েলি সেনাকে লড়তে হচ্ছে। ফলে মাঝে মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করেছে লেবানন এবং ইজরায়েল সীমান্ত।