লন্ডন, ২৪ অক্টোবর: বুধবার পূর্ব লন্ডনে যে মৃতদেহ বোঝাই ট্রাকটিকে চিহ্নিত করে অ্যাসেক্স পুলিশ, তাই নিয়ে এখনও চলছে জলঘোলা। প্রাতঃভ্রমণকারীরাই প্রথমে স্তূপীকৃত মৃতদেহ রাখা ট্রাকটিকে প্রথমে দেখতে পেয়েই পুলিশে খবর দিয়েছিলেন। তখন সদ্য আলো ফুটেছে শহরে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ছেন প্রাতর্ভ্রমণকারীরা। তাঁদেরই একজনের চোখে পড়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটা। সংবামাধ্যমকে তিনি জানান, ‘‘ট্রাকের ভিতর স্তুপাকৃত হয়েছিল মোট ৩৯ মৃতদেহ। ৩৮ মৃতদেহ পুর্নবয়্স্ক মানুষ আর একটি শিশুর মৃতদেহ।’’আপাতত এই মৃতদেহ বোঝাই গাড়িটি নিয়েই তুলকালাম লন্ডনে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বড় কোনও দেহ পাচার চক্র এই কীর্তির সঙ্গে জড়িত। তাঁদের দাবি,মৃতদেহগুলি বুলগেরিয়া থেকে এসেছিল।
এদিকে বৃহস্পতিবার লন্ডনের সংবাদ মাধ্যমের তরফে দাবি করা হচ্ছে দেহগুলি চিনা অনুপ্রবেশকারীদের। সে যাইহোক পূ্র্ব লন্ডনের জমজমাট গ্রে স্ট্রিটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে লন্ডন পুলিশের অন্দরেও। পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট অ্যান্ড্রু মেরিনার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘একসঙ্গে এতগুলি মৃত্যুর ঘটনা অপ্রত্যাশিত। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। এত মৃত মানুষের পরিচয় অনুসন্ধান খুব সহজ নয়, ফলে সময় লাগবে।’’ জানা গিয়েছে এক অ্যাম্বুলেন্স চালকের থেকে তথ্য পেয়ে লন্ডন পুলিশ বুধবার ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তদন্তকারী অফিসার দাবি, ওয়েলসের উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে এই মৃতদেহ বোঝাই গাড়িটি লন্ডনে ঢোকে। তার আগে মৃতদেহগুলিকে বুলগেরিয়া থেকে নদীপথে আনা হয়েছিল। আরও পড়ুন-জমিয়তে উলেমায়ে ইসলামের সরকার বিরোধী আজাদি মিছিলের অনুমতি দিল পাকিস্তান
I’m appalled by this tragic incident in Essex. I am receiving regular updates and the Home Office will work closely with Essex Police as we establish exactly what has happened. My thoughts are with all those who lost their lives & their loved ones.
— Boris Johnson (@BorisJohnson) October 23, 2019
অ্যাসেক্স পুলিশ সূত্রের খবর মৃতেরা চিনা অনুপ্রবেশকারী। তবে তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। পরিচয় জানা গেলে পরিবারের সদস্যদের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হবে। এজন্য অ্যাসেক্স পুলিশ অভিবাসন কর্তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনাও চালাচ্ছে। ২০০০ সালেও এই ইংল্যান্ডেই এমন ঘটনা ঘটেছিল। সেবার ৫৮টি মরদেহ সমতে একটি ডাচ ট্রাক উদ্ধার হয় দক্ষিণপূর্ব ইংল্যান্ডের ডোভার বন্দরে। মরদেহের স্তূপের মধ্যেই আধমরা দুজনকে উদ্ধার করা গিয়েছিল। পরে চিকিৎসা পেয়ে তাঁরা বেঁচে যান।