যৌন অপরাধের বিচারে মার্কিন ফাইন্যান্সার জেফরি এপস্টেইনের (Jeffrey Epstein) সঙ্গে আদালতের নথিতে যুক্ত ব্যক্তিদের পরিচয় বুধবার প্রকাশ করতে শুরু করেছেন নিউইয়র্কের এক বিচারক। জেফরি এপস্টেইনের তালিকায় অসংখ্য গোপনীয় নথির বিবরণ রয়েছে, দীর্ঘ আইনি বিতর্কের পর নিউ ইয়র্কের ফেডারেল আদালতে অবশেষে সেটি প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকায় ১৭০ জনেরও বেশি ব্যক্তি রয়েছে, যার প্রাথমিক ব্যাচটি বুধবার জনসাধারণের জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য করা হয়েছে। যেখানে রয়েছে ৪০টি অপ্রকাশিত নথি যেখানে ১ হাজার পৃষ্ঠার বিবৃতিতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নাম উঠে এসেছে। এই মামলার সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করার জন্য সম্পূর্ণ নথি ধীরে ধীরে প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। US Warns Houthis: লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা বন্ধ না হলে ফল ভুগতে হবে, আমেরিকার সতর্কতা হাউতিদের
জেফরি এপস্টেইন মামলা কি?
জেফরি এপস্টেইন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারকারী একজন সু-সংযুক্ত অর্থদাতা যার বিপক্ষে অল্পবয়সী মেয়েদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া এপস্টাইনের প্রাক্তন সঙ্গী গিসলাইন ম্যাক্সওয়েলের (Ghislaine Maxwell) বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়। তবে ২০১৯ সালের আগস্টে নিউ ইয়র্কের একটি কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার করেন এপস্টেইন ফলে তার বিচার বন্ধ হয়ে যায়। কয়েক বছর ধরে এপস্টেইনের ক্লাইন্টদের মনগড়া তালিকা এবং ভুয়ো ছবি ইন্টারনেটের নাগরিকদের বেশ বড় চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। পরে জানা যায় জেফরি নিজেই শুধু যৌন অপরাধী ছিলেন না তিনি বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের শিশু বা নাবালক/ নাবালিকা পাচার করতেন। জেফরি এপস্টেইনের লিটল সেন্ট জেমস দ্বীপটি স্থানীয়দের কাছে 'পেডোফাইল দ্বীপ' (Pedophile Island) নামে কুখ্যাত ছিল এবং যৌন পাচারের প্রধান কেন্দ্রস্থল ছিল।
জেফরি এপস্টেইন তালিকায় কারা
এই মুহূর্তে উঠে আসা তালিকায় রয়েছে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের (Bill Clinton) নাম। প্রকাশিত নথিতে জেফরি এপস্টেইন একবার তার এক ভুক্তভোগীকে বলেন যে, বিল ক্লিনটন অল্পবয়সী মেয়েদের পছন্দ করেন। জানা গিয়েছে, ব্রিটেনের প্রিন্স অ্যান্ড্রুর (Prince Andrew) নাম এপস্টেইনের সেই তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। আদালতের নথিতে প্রয়াত 'কিং অব পপ' মাইকেল জ্যাকসন (Michael Jackson) এবং জাদুকর ডেভিড কপারফিল্ডের (David Copperfield) নামও রয়েছে। জেফরি এপস্টাইন গিসলাইন ম্যাক্সওয়েলকে পাঠানো ই-মেইলে অধ্যাপক স্টিফেন হকিং (Stephen Hawking)-এর নামও উঠে এসেছে। এছাড়া হার্ভার্ডের প্রাক্তন অধ্যাপক অ্যালান ডারশোভিজ একাধিকবার নাবালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করেন বলেও জানা গিয়েছে।