আফগানিস্তানের শিশুরা, ছবি এএনআই

কাবুল, ৩১ অগাস্ট: গত ১৫ অগাস্ট কাবুল (Kabul) দখল করে তালিবান৷ আফগানিস্তান তালিবানের দখলে যাওয়ার পর সে দেশ থেকে পালাতে শুরু করেছেন বহু মানুষ৷ বিশেষ করে মহিলা, শিশু (Children) ৷ যাঁরা এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে রয়েছেন, তাঁরা আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন বলে উঠে আসছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে৷  এসবের মধ্যে ইউনিসেফের একটি রিপোর্টে প্রায় গোটা বিশ্বের কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে৷

ইউনিসেফের (UNICEF) যে রিপোর্টটি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, আফগানিস্তান (Afghanistan) কমপক্ষে ১০ মিলিয়ন (১ কোটি) শিশুর মানবিক সহায়তা প্রয়োজন৷ ইউনিসেফের লুডোভিক ডে লাইস বলেন, আফাগনিস্তানে যে শিশুরা রয়েছে, তারা সুস্থ শৈশব থেকে বঞ্চিত৷ সুষম খাবার এবং সুস্থ শৈশব থেকে ওই শিশুরা বঞ্ছিত হচ্ছে বলে জানানো হয় ইউনিসেফের তরফে৷ শুধু তাই নয়, কাবুল জুড়ে যে নৃশংসতা শুরু হয়েছে, তার জেরে বহু শিশু আহত হচ্ছে৷ গত বৃহস্পতিবার থেকে কাবুল জুড়ে নৃশংসতার মাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে৷

আরও পড়ুন: Afghanistan: আফগানিস্তান মুক্ত, এই জয় দেশের মানুষের, মার্কিন সেনা কাবুল ছাড়ার পর বলল তালিবান

প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবারই ভয়াবহ আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কাবুল৷  ওই ঘটনায় যখন একের পর এক প্রাণহানির খবর প্রকাশ্যে আসছে, সেই সময় আমেরিকা পালটা আঘাত করে৷  কাবুল বিমানবন্দরের বিস্ফোরণের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের নিকেশ করতে পালটা ড্রোন হামলা চালায় আমেরিকা৷  যদিও আমেরিকার (US Troops) ওই হামলার জেরে স্থানীয় কারও প্রাণহানির খবর মেলেনি বলে জানা যায়৷ ওই ঘটনার পরপরই আফগানিস্তানের শিশুদের নিয়ে ইউনিসেফের রিপোর্ট প্রাকশ্যে আসে৷

এসবের পাশাপাশি আফগানিস্তান জুড়ে বহু শিশুকে যুদ্ধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে৷  যার জেরে তাদের শৈশব ধ্বংস হচ্ছে৷  চলতি বছর আফগানিস্তানে প্রায় ৫৫০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷  আহত কমপক্ষে ১৪০০৷  শৈশবের হাতে গোলা, বারুদ, বন্দুক এসে যাওয়ায়, বিভিন্ন কারণে ওই শিশুদের মৃত্যু হচ্ছে বলে রিপোর্টে প্রকাশ৷

ফলে সময় মতো ভ্যাকসিন (Vaccine) যেমন বহু শিশুর শরীরে পড়ছে না, তেমনি সুষম খাদ্যের অভাবেও মৃত্যু হচ্ছে একের পর এক কচি প্রাণের৷ সেই সঙ্গে রয়েছে খরার প্রকোপ এবং জলের অপ্রতুলতা৷ যার জেরে আফগানিস্তানের হাসপাতালগুলিতে চোখে পড়ছে ভয়াবহ ছবি৷  যেখানে পুষ্টির অভাবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে আকছার৷ বিভিন্ন কারণে ওই সব শিশুদের কাছ থেকে তাদের শৈশব কেড়ে নেওয়াতেই ভয়াবহ ছবি প্রকাশ্যে উঠে আসতে শুরু করেছে গোটা আফগানিস্তান জুড়ে৷