হিন্দুদের একটি বড় উৎসব বসন্ত পঞ্চমী। শ্রী পঞ্চমী এবং জ্ঞান পঞ্চমীর মতো আরও অনেক নামে পরিচিত এই উৎসব। বসন্ত ঋতুর আগমনের প্রতীক হিসেবে পালন করা হয় এই উৎসবটি। এই দিনে জ্ঞানের দেবী মা সরস্বতীর পুজো করা হয়। দেবী সরস্বতীর উপাসনা জ্ঞান ও বিদ্যার আশীর্বাদ নিয়ে আসে। এছাড়াও এই বিশেষ দিনে পুজো করা হয় মাতা শারদা, দেবী বাগ্দেবী এবং বীণাবাদিনীর। হিন্দুধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ উপনিষদে উল্লেখ রয়েছে বসন্ত পঞ্চমীর। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে জন্ম হয়েছিল দেবী সরস্বতী।

মা সরস্বতীকে মূলত জ্ঞান ও প্রজ্ঞার দেবী হিসেবে বিবেচনা করা হয় কারণ তাঁর কৃপায় জ্ঞান এবং শিল্পের মতো অন্যান্য জিনিসের আশীর্বাদ লাভ হয়। ফুল ফোটানো এবং নতুন ফসলের আগমনের উৎসব হিসেবেও পালন করা হয় বসন্ত পঞ্চমী। সরিষার ফসল, হলুদ ফুল, আম গাছে ফুল এবং আবহাওয়া মনোরম করে তোলে এই ঋতুকে। এই ঋতুর বিশেষত্ব হল মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখির চেতনায় নতুন শক্তি নিয়ে আসে এবং মন ও স্বাস্থ্য ঠিক থাকে। পঞ্জিকা অনুসারে, মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে পালন করা হয় বসন্ত পঞ্চমী।

২০২৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পালন করা হবে এই উৎসব। পঞ্চমী তিথি শুরু হবে ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ০৯:১৪ মিনিটে এবং শেষ হবে ৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ০৬:৫২ মিনিটে। দেবী সরস্বতীর পুজোর জন্য শুভ সময় থাকবে ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ০৭:০৯ মিনিট থেকে দুপুর ১২:৩৫ মিনিট পর্যন্ত। বসন্ত পঞ্চমীর দিন প্রথমে ব্রহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে হলুদ রঙের পোশাক পরা উচিত। এরপর পুজোর স্থানে দেবী সরস্বতীর মূর্তি বা ছবি স্থাপন করে লাড্ডু এবং মৌসুমি ফল নিবেদন করা হয়। এরপর মা সরস্বতীর আরতি করে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।