বিমান হামলা (Photo by Getty Images/ Representational Image)

সানা, ২১ ফেব্রুয়ারি: গত সপ্তাহে বিদ্রোহ জর্জরিত ইয়েমেনে চলল বিমান হানা। এই ঘটনায় ১৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ১১ জন শিশুকন্যা ও ৮ জন শিশুপুত্র। এছাড়া এই ঘটনায় আহতদের তালিকায় থাকা ১৮ জন শিশুর মধ্যে নয় জন শিশুপুত্র ও বাকি নয় জন শিশুকন্যা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আচমকাই বিমান হামলা চলে বিদ্রোহ জর্জরিত ইয়েমেনের (Yemen) উত্তরাংশের আল জওফ এলাকায়। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করে এই শিশু মৃত্যুর তথ্য দিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। সৌদি নেতৃত্বাধীন বিমানকে গুলি করে নামানো হুমকি দিয়েছিল বিদ্রোহীরা। তারই জবাব দিতে জনবহুল এলাকায় চালানো হল বিমান হামলা। এমনটাই জানিয়েছেন ইউনিসেপের রিজিওনার কমিউনিকেশন প্রধান জুলিয়েট তওমা।

যেখানে হামলা চলেছে সেখানে বেশ কয়েকটি বিমানের মধ্যে সংঘর্ষের সম্ভাবনা একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল। তাই ক্ষয়ক্ষতিও ভালরকম হয়েছে। সেই ২০১৫ থেকেই ইময়েমেনের রাজধানী সানার দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা। আর সেই থেকেই সৌদির সঙ্গে চলছে আকচা আকচি। এই যুদ্ধ পরিস্থিতির অভিশাপ বহন করছে শিশুরা। তাই যুদ্ধপ্রবণ দেশগুলিকে সংযত হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন ইউনিসেফ। তবে এঘটনা নতুন কিছু নয়। ইয়েমেনিরা বেশ কয়েক বছর ধরে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিমান হামলার শিকার হয়ে আসছে। হুথি জঙ্গিদের হটাতে সানা জুড়ে গত কয়েক মাস ধরেই ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী। ইরান সমর্থিত শিয়া বিদ্রোহীদের সরিয়ে আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত সরকারকে ক্ষমতায় ফেরানোই লক্ষ্য তাদের। আরও পড়ুন-Germany Mass Shooting: জার্মানিতে মধ্যরাতে বন্দুকবাজের হানা, এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত ৮, আহত ৫

সানায় দুই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব চলছে বহু দিন ধরেই। এক দিকে উত্তরের শিয়া যোদ্ধা, যারা পরিচিত হুথি জঙ্গি হিসেবে। আর হুথিদের সঙ্গে লড়াই করছে গদিচ্যুত প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লা সালেহর অনুগামীরা। এই সংঘর্ষে দীর্ঘ দিন ধরে উত্তপ্ত সানা। বিদ্রোহীরা সানা-সহ ইয়েমেনের উত্তরাংশের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে।