মুকুল রায় (Photo Credits: IANS)

কলকাতা, ২৫ জানুয়ারি: টাকা চাইলেই তৃণমূল নেতাদের কলার চেপে ধরুন। ছাড়াছাড়ির জায়গা নেই। রবিবার বহরমপুরের সভা থেকে ফের শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন বঙ্গবিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এমনিতে মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরিই সব। সেখানে গত লোকসভা নির্বাচনে মাত্র দুটি আসনে জিতে মুখ রক্ষা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর বিজেপি কোনও আসন না পেলেও জঙ্গিপুরে ভোটের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। এবার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সেই অধীর চৌধুরির গড়েই পদ্ম ফোটাতে বদ্ধপরিকর গেরুয়া শিবির। কিন্তু বহরমপুরে গিয়ে দিলীপবাবু নিশানা করলেন তৃণমূলের নেতাদেরই। বলেন, তৃণমূলের যাঁরা সৎ তাঁরা বিজেপিতে আসছেন, আরও অনেকে আসবেন। চোর, জেল ফেরত আসামীরা এখানে চশমা পরে তৃণমূল করছে।

তবে সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা দিতে ছাড়েননি তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের নিয়ে চুপ বিজেপি। কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, নারদার টাকা যারা নিচ্ছিলেন তাদের নিয়ে কেন কিছু বলছেন না দিলীপ ঘোষ। মুকুল রায়ের কলারটা কবে ধরবেন দিলীপ ঘোষ? দুর্নীতি রয়েছে তো বিজেপিতে। পরিযায়ী-তৎকাল নেতারা বিজেপিতে, পাবলিকের সামনে কিছু বলতে হবে তাই বলতে হচ্ছে দিলীপ ঘোষকে। আরও পড়ুন-Joe Biden: জো বিডেনের হস্তক্ষেপ, মহামারী রুখতে আমেরিকায় পুনরায় চালু কোভিড ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা

এমনিতেই তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে আম্ফানের টাকা নয়ছয়, আবাস যোজনা ও রেশন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিধানসভা ভোটের আগে দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ। দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে পাল্টা সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। কারণ দু’মাসের মধ্যে রাজ্য মন্ত্রিসভার তিন সদস্য মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। তৃণমূলের আরও ৬ বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সদ্য মন্ত্রিত্বত্যাগী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূলের একাংশের উদ্দেশ্যে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ।