কল সেন্টার/ প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Getty Images)

কলকাতা, ২৬ জুলাই: করোনায় আক্রান্ত (COVID-19) হয়েছেন সন্দেহ হলে বাড়ি বসেই পরামর্শ পাওয়া যেতে পারে। সরাসরি কলকাতা পুরসভার বরোভিত্তিক নিজস্ব কল সেন্টারে (Call Center) ফোন করে জানা যাবে। পরামর্শ দেন করোনাজয়ী একজন বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কোভিড যোদ্ধা। শুধু তাই নয়, ঠিকানা জেনে মোটরবাইক নিয়ে অসুস্থের বাড়িতে দ্রুত পৌঁছে যাবেন পরামর্শদাতারা। রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা করবেন, ফোনে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনে ওষুধও দেবেন তারা। যদি হাসপাতালে তখনই ভরতির প্রয়োজন হয় তারও চটজলদি ব্যবস্থা করবেন করোনাজয়ী যোদ্ধারা। অ্যাম্বুল্যান্স তক্ষুণি না পাওয়া গেলে কোভিড যোদ্ধার সঙ্গের বাইকই অ্যাম্বুল্যান্সের কাজ করবে, পৌঁছে দেবে হাসপাতালে।

করোনা রোগীর ভরতি ও দ্রুত চিকিৎসা নিয়ে কলকাতায় যে সমস্ত অভিযোগ উঠেছে তা ১৬টি কলসেন্টার চালুর মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলতে পুরমন্ত্রীর এমন পরিকল্পনা। যেহেতু কোভিড যোদ্ধারা সুস্থ হয়ে ফিরেছেন, তাই তাঁদের শরীরে মারণ ভাইরাস (Coronavirus) প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে আছে। বস্তুত এই কারণেই করোনা আক্রান্ত সন্দেহভাজন রোগীর কাছে গেলে কোনও ঝুঁকি থাকবে না। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীরা বাইক নিয়ে গেলে ওই সন্দেহভাজন রোগীর থেকে নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই এমন পরিষেবায় কোভিডজয়ীদের নিয়োগ করছে পুরসভা। আরও পড়ুন, 'অযোধ্যা রাম মন্দিরের ভুমিপুজোর আগে পর্যন্ত প্রতিদিন পাঁচবার হনুমান চালিশা পাঠ করলেই করোনা থেকে মুক্তি', মন্তব্য বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুরের

এবার কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) উদ্যোগে করিমুলের মতই মোটরবাইক নিয়ে করোনা আক্রান্তের বাড়ি পৌঁছে পরিষেবা দেবেন কোভিডজয়ীরা। তিন শিফ্টে ভাগ করে ২৪ ঘণ্টাই পুরসভার প্রতিটি বরো অফিসের কল সেন্টারে ডিউটি করবেন করোনাজয়ীরা। রবিবার পুরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশাসক তথা প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, “পুরসভার ১৬টি বরোতেই চালু হচ্ছে এই কলসেন্টার। দায়িত্বে থাকবেন করোনাজয়ীরা। ফোন পেলেই মোটরবাইক নিয়ে পৌঁছে যাবেন রোগীর বাড়িতে। প্রাথমিক চিকিৎসা, অন-কলের ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে ওষুধ দেওয়া, ভরতির ব্যবস্থা সবটাই করবেন তাঁরা।”