কলকাতা, ৬ জুন: ঘূর্ণিঝড় ও নিম্নচাপের ফল মোটের ওপর গ্রীষ্মের (Summer) দাবদাহ থেকে এবার ছাড় পেয়ে যায় বাংলা। যদিও লকডাউনে বাইরে বেরোনো নিষেধ ছিল তাই গরমের অনুভূতিটাও কমই টের পেয়েছে বঙ্গবাসী। তবে গত ১ জুন থেকে খুলেছে সমস্ত অফিস কাছারি। তারপর থেকে টানা কয়েকদিন গরমের দাপটে জেরবার শহরবাসী। এমনিতেই বাস-অটোর সঙ্কট। তারমধ্যে গরম অস্বস্তি আরও বাড়াচ্ছে। আম্ফানের দাপটে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যয় হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ এখনও অনেক জায়গাতেই পৌঁছয় নি। তবে এরমধ্যে গরমের জ্বালা কমতে পারে আজ।
প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢোকায় গোটা রাজ্যে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি বেড়েছে। আজ সন্ধের দিকে বিক্ষিপ্ত ঝড় বৃষ্টির (Rain) সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal)। রবিবার বঙ্গোপসাগর থেকে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে ওড়িশা সংলগ্ন জেলা ও উপকূল অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এর প্রভাব পড়বে কলকাতায়। ভারী বৃষ্টি হতে পারে আগামী সপ্তাহেও।
আবহবিদদেড় মতে, মধ্যপ্রদেশের নিম্নচাপটি উত্তরপ্রদেশে সরে দুর্বল হয়ে পড়বে। তারপরই বঙ্গোপসাগরে সক্রিয় হবে মৌসুমি বাতাসের প্রবাহ। তার মধ্যে ৮ জুন নাগাদ মায়ানমার উপকূলের কাছে নতুন নিম্নচাপটির তৈরি হওয়ার কথা। তবে তা কতটা শক্তিশালী হয়, কোন পথে এগোয়, তার উপর নির্ভর করবে বাংলার বর্ষা। তাই এখনও বলা যাচ্ছে না বাংলায় বর্ষের আগমনের সম্ভাব্য তারিখ। আরও পড়ুন, করোনায় আক্রান্ত দাউদ ইব্রাহিম কি মৃত? জোর জল্পনা
নিম্নচাপ ওডিশা-অন্ধ্র উপকূলের দিকে এগোলে দক্ষিণবঙ্গ তো বটেই, উত্তরবঙ্গেও বর্ষার আগমন পিছিয়ে যেতে পারে। আবার নিম্নচাপ বাংলাদেশ, বাংলা লাগোয়া উপকূলের দিকে এগিয়ে এলে বৃষ্টিও হবে বেশি আবার তার ধাক্কায় মৌসুমি বাতাসও ঢুকে যেতে পারে। গত বছর ২১ জুন বর্ষা এসেছিল কলকাতায়। এ বার ততটা দেরি না হওয়ারই আশা রাখছেন আবহবিদরা।