অবশেষে পদ্মশিবিরের গড়ে ফুটল ঘাসফুল। বাগদাতে বিজেপির বিনয় কুমার বিশ্বাসকে ৩৩ হাজার ৪৮০ ভোটে হারিয়ে নিজের জয় নিশ্চিত করেন তৃণমূলের মধুপর্ণা ঠাকুর (Madhuparna Thakur)। বলা ভালো, এই মধুপর্ণা হলেন মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে এবং শান্তনু ঠাকুরের তুতো বোন। ফলে মতুয়া ভোট কার দখলে থাকবে এই নিয়ে নির্বাচনের আগে থেকেই লড়াই চলছিল। তবে মাঝে বীনাপাণি ঠাকুরের বাড়ি দখল নিয়ে শান্তনু ও মমতাবালার মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছায়। আর তখনই সামনে আসেন মধুপর্ণা। ভিটেবাড়ি ফেরত পেতে আমরন অনশনে বসেছিলেন শান্তনুর তুতো বোন। মে মাসে চলা এই অনশনের চারদিনের মাথায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মধুপর্ণা। আর এই লড়াইয়ের কারণে হাইকোর্টের রায় যায় মমতাবালাদের পক্ষে। যা মতুয়া ভোটের ওপরেও প্রভাব পড়ে।

এদিন উপনির্বাচনে জয় পেয়ে মধুপর্ণা বলেন, কোর্টের রায় আমাদের পক্ষেই আছে। ফলে দরজা খুলতে কোনও বাধা নেই। যদি সম্ভব হয় তাহলে আজই ঠাকুরবাড়ির দরজা খোলা হবে। এতদিন সময় হচ্ছিল না। আদালতের রায় যেহেতু আমাদের পক্ষেই আছে তাই দরজা খুলতে কোনও সমস্যা হবে না। প্রসঙ্গত, এই বাড়ি নিয়েই ঠাকুরবাড়ির দুই পক্ষের সংঘাত চরমে পৌঁছিয়েছিল। বিজেপি সাংসদের দাবি ছিল এই বাড়িকে কেন্দ্র সরকারের অধীনে এনে হেরিটেজ ঘোষণা করতে হবে। আর সেই কারণে বাড়ি থেকে উৎঘাতে হয়ে অস্থায়ী ঘরে বাস করছিলেন মমতাবালার পরিবার।

অন্যদিকে বাগদায় জয় পেয়ে রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠা বিধায়ক বলেন, আমি বাগদার মানুষের পাশে থাকবো। ঠাকুরনগরে এখন যাবো না, এখানেই অফিস করবো, এখানেই থাকার ব্যবস্থা করে থাকবো। আপাতত আমার প্রধান লক্ষ্য এই কেন্দ্রের রাস্তা, ব্রিজগুলি ঠিক করার। দীর্ঘদিন কাজ না হওয়ায় বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই রাস্তাগুলি, আপাতত সেগুলিই ঠিক করবো।