কলকাতা, ১২ এপ্রিল: হাঁসখালির (Hanskhali) ঘটনা কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। পুলিশ তদন্ত করছে। মূল অভিযুক্ত এবং তার দুই বন্ধু এই ঘটনায় জড়িত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। হাঁসখালিতে গিয়ে মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এমনই মন্তব্য করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেন, পুলিশ কোনওভাবেই এই ঘটনা বরদাস্ত করবে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান মহুয়া। প্রসঙ্গত হাঁসখালিতে নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গে আজ দেখা করতে যাওয়ার কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে বিরোধী দলনেতা পৌঁছনোর আগে হাঁসখালি গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মহুয়া মৈত্র।
এদিকে সোমবার হাঁসখালিকাণ্ড নিয়ে মুখে খোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মেয়েটির মৃত্যুর পরপরই কেন অভিযোগ দায়ের করা হল না? ৫ তারিখে মেয়েটি মারা গিয়েছে। ৫ তারিখে কেন পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হল না? ১০ তারিখে কেন অভিযোগ দায়ের করা হল বলে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, মেয়েটির মৃত্যুর পর দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হল। তিনি যতদূর জানতে পেরেছেন, 'মেয়েটির লভ অ্যাফেয়ার' ছিল। বাড়ির লোকেরাও জানত। পাড়ার লোকেরাও জানত। এটা উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) নয় যে লভ জিহাদ নিয়ে কথা হবে। যদি কেউ অভিযুক্ত হয়, তাহলে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখানে কোনও রং দেখা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন মমতা।
হাঁসখালি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পর তা নিয়ে জোরদার আলোচনা শুরু হয়ে যায়।