দক্ষিণ দিনাজপুর, ৩ ফেব্রুয়ারি: নারী নিগ্রহের অভিযোগে শাসক দল থেকে বহিষ্কৃত নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের(Nandanpur Gram Panchayat) উপপ্রধান অমল সরকার। দক্ষিণ দিনাজপুরের নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘটনাটি ঘটে গত ৩১ জানুয়ারি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলকে কটাক্ষ জেলা বিজেপি(BJP) নেতাদের। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলের নেতা নেত্রীরা। প্রহৃত স্মৃতিকণা দেবীর দাবি, তাঁর জমি দখল করে রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছিল। সেটি বাধা দিতে গেলেই বিতর্ক শুরু হয়। বিবাদ একসময়ে চরমে উঠলে অভিযুক্ত অমল সরকার ও তার দলবল মহিলাকে আটকে মারধর শুরু করে(Woman Teacher Thrashed For Opposing Forcible Land Acquisition)। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে স্মৃতিকণা দেবীকে(TMC Suspends Member Who Led Assault)।
স্মৃতিকণা দেবীর অভিযোগ, জমি নিয়ে বিবাদ শুরু হয় প্রথমে। তর্কাতর্কি গিয়ে দাঁড়ায় শেষপর্যন্ত হাতাহাতিতে। গোটা ঘটনাটির একটি ভিডিও-ও প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, স্মৃতিকণা দেবীকে প্রায় কয়েক মিটার রাস্তায় টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এমনকী, স্মৃতিকণা দেবীর পা বেঁধে দিয়ে মারধরের অভিযোগ করেছেন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি স্মৃতিকণা দেবী। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই উপপ্রধানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আরও পড়ুন: West Bengal Weather Update: মাঘের শেষে জাঁকিয়ে শীত, এক ধাক্কায় পারদ নামল ৩ ডিগ্রি
গোটা ঘটনাটিকে ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিজেপির দাবি, স্মৃতিকণা দেবী তাদের দলের সদস্য ছিলেন। এর আগেও স্মৃতিকণা দেবীর উপর বেশ কয়েকবার হামলা চালানো হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার যে চরম দুরাবস্থা, তা এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট বলে দাবি করেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভানেত্রী অর্পিতা ঘোষ জানিয়েছেন, স্মৃতিকণা দেবী ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছেন। মামলাও রুজু করা হয়েছে। তদন্তও শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত উপপ্রধানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।