রাগের মাথায় ভুল করেছেন, নিউটাউনের রেস্তোরাঁকাণ্ডে ক্ষমা চাইলেন অভিনেতা তথা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty)। ঘটনার প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর ক্ষমাপ্রার্থী অভিনেতা জানালেন, একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে এভাবে মেজাজ হারিয়ে কারুর গায়ে হাত তোলা একেবারেই তাঁর উচিৎ হয়নি। রেস্তোরাঁর মালিককে নিগ্রহের গোটা ঘটনাকে প্ররোচনা হিসাবে তুলে ধরতে চাইছেন তিনি।
একদিকে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে মহিলা সিআইএসএফ (CISF) কর্মীর হাতে অভিনেত্রী তথা বিজেপির নব নির্বাচিত সাংসদ কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) চড় খাওয়ার ঘটনা। অন্যদিকে কলকাতার নিউটাউনের এক রেস্তোরাঁয় শুটিং করতে এসে মালিকের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার জেরে তাঁকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে (Soham Chakraborty Slap Controversy)। দুই ঘটনা নিয়েই চড়েছে নেটপাড়ার মেজাজ। রেস্তোরাঁয় ধ্বস্তাধস্তির একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একজন জনপ্রতিনিধির এহেন আচরণের চরম নিন্দা শুরু করে নেটবাসী। হাওয়া বেগতিক বুঝেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরনোর আগেই ক্ষমা চেয়ে নিলেন চন্ডীপুরের বিধায়ক। শনিবার দুপুরেই অভিনেতা ক্ষমা প্রার্থনা করে জানালেন, আগে তাঁর এবং তাঁর প্রযোজনা সংস্থা ও নিরাপত্তাকর্মীদের গালিগালাচ, কটূক্তি করা হয়েছিল। এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কুকথা বলেন রেস্তোরাঁর মালিক। তা শুনে মাথা ঠিক রাখতে না পেরে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। তবে একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে এহেন কাজ তাঁর শোভা পায়নি। ভুল করে ফেলেছেন।
ঠিক কী ঘটেছিল নিউটাউনের ওই রেস্তোরাঁয়?
শুক্রবার নিউটাউনের সাপুরজি এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় শুটিংয়ের কাজে গিয়েছিলেন অভিনেতা এবং তাঁর টিম। অনুমতি নিয়েই সেখানে শুটিং চলছিল। এমনকি রেস্তোরাঁর মালিককে নগদ ১০ হাজার টাকাও দেওয়া হয় বলে জানান অভিনেতা। রেস্তোরাঁর পার্কিং লটে গাড়ি রাখা নিয়ে শুরু হয় দুই পক্ষের বচসা। শুটিংয়ের জন্যে রেস্তোরাঁর পার্কিং লটে বহু গাড়ি জড়ো হয়েছিল। গাড়ি সরাতে বলা হলে তাতে রাজি হয়নি অভিনেতার টিম। এই নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। যা ক্রমশ হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। রেস্তোরাঁর কর্মীরা এবং অভিনেতার টিম একে অপরের উপর চড়াও হয়। এরই মাঝে মেজাজ হারিয়ে রেস্তোরাঁর মালিকের গায়ে হাত তুলে বসেন তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী।