ঘূর্ণিঝড়/ প্রতীকী ছবি (Photo Credits: Wikimedia Commons)

কলকাতা, ১৯ মে : সমুদ্র উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন আমফান (Cyclone Amphan)। ইতিমধ্যে দিঘায় প্রবল জলোচ্ছ্বাস দেখা গেছে। বৃষ্টি (Rain) শুরু হয়েছে কাকদ্বীপ (Kakdwip), নামখানা  (Namkhana) ও ফ্রেজারগঞ্জে। আগামীকাল বিকেল থেকে সন্ধের মধ্যে দিঘা ও বাংলাদেশের হাতিয়ার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে আমফান। এই মুহূর্তে এর গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪ কিমি। দিঘা থেকে ৬৩০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে। পারাদ্বীপে ৪৮০ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত। খেপুপাড়ায় ৭৫০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে।

আমফান পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির (Mamata Banerjee) সঙ্গে ফোনে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই সঙ্কট সামলে উঠতে রাজ্যকে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। এনডিআরএফ বাহিনী ইতিমধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলিতে বহাল হয়েছে। কেন্দ্রের তরফ থেকে ত্রাণ তৈরি বলে তিনি জানান। আজ থেকে বৃষ্টি শুরু হবে রাজ্যের ৭ জেলায়। সাগরদ্বীপ ও কাকদ্বীপে আছড়ে পড়তে পারে আমফান। আরও পড়ুন, মহামারীর মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় আমফানের ভ্রূকুটি, ক্ষতির আশঙ্কায় মুহূর্ত গুনছে পশ্চিমবঙ্গ

মোকাবিলায় তত্‍পর রাজ্য প্রশাসনও। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে গতবছর দুটি ঘূর্ণিঝড় দেখেছে রাজ্য। গতবছর নভেম্বর মাসে এসেছিল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ওই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয় রাজ্যে। গত বছরেরই মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে অবশ্য সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছিল ওড়িশায়। তবে স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার আগে যথেষ্টই দুর্বল হয়ে পড়েছিল ফণী। ২০০৯-এ ঘূর্ণিঝড় আয়লায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল রাজ্যের উপকূল অঞ্চলে। মে মাসের ওই ঘূর্ণিঝড়ে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে ৩৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

বুধবার পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের হাতিয়া দ্বীপের মধ্যে ল্যান্ডফল হওয়ার কথা এই সুপার সাইক্লোনের। ল্যান্ডফলের সময় আমফানের গতিবেগ ১৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা। আর সেরকম হলে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিদিনই বৈঠক করছে কেন্দ্র ও রাজ্য। একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে আমফানের মোকাবিলা করার জন্য। তবে আমফানের অবস্থান এখনও পুরোপুরিভাবে সনাক্ত করা যায়নি। সাইক্লোনের গতিবেগ কমতেও পারে আবার জোরালোও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।