রাত পোহালেই নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন (Kaliganj By-Election)। বলা ভালো, ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেসের কাছে এটাই হতে চলেছে ওয়ার্ম আপ সেশন। ফলে এই নির্বাচনে নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করার এটাই সুবর্ণ সুযোগ। তাই প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই শাসক থেকে বিরোধী প্রতিটি দলই জোড়কদমে প্রচার চালিয়েছে এই আসনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়। যদিও এই কেন্দ্রটি বরাবরই ছিল বাম-কংগ্রেস ও তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। মুসলিম অধ্যুষিত এই এলাকায় ২১-এর নির্বাচনেই বড় ঝটকা দেয় বিজেপি। তৃণমূলকে হারাতে না পারলেও কংগ্রেসকে তিন নম্বরে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বিজেপি।
আসন নিয়ে আশাবাদী তৃণমূল
তারপর ছেকেই আলাদায় চিন্তায় ভুগছে তৃণমূল ও কংগ্রেস। যদিও এই আসন নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী তৃণমূল। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার দাবি করেছেন, তাঁদের জয়ের ব্যবধান খুব কম করে হলেও ৫০ হাজারের ব্যবধান হবে। তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে বিজেপি। পরিসংখ্যান বলছে, গতবারে হিন্দু ভোটের ৮০ শতাংশ আগের বারেই পেয়েছে। এবার তাঁদের লক্ষ্য ৯০ শতাংশ। ফলে অন্যদিকে যদি সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে কাটাকুটি হয়, তাহলে মাঝখান থেকে লাভের গুড় খেয়ে বেরিয়ে যাবে বিজেপি।
কালীগঞ্জে শুরু ভোটের প্রস্তুতি
যদিও এই নির্বাচনের কয়েকমাস পড়েই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ফলে এই ফলাফলের ওপর রাজ্য দখল হচ্ছে না ঠিকই। কিন্তু কোন স্ট্রেটেজিতে খেলা হবে, তা কালীগঞ্জ থেকেই নির্ধারিত হবে। ইতিমধ্যেই ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে এই বিধানসভা কেন্দ্রে। ইভিএম ও গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে বুথের দিকে পা বাড়িয়েছেন ভোট কর্মীরা। এই কেন্দ্রের জন্য ১৪ কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে। সঙ্গে থাকবে রাজ্য পুলিশের ১০০০ জন কর্মী।
প্রসঙ্গত, কালীগঞ্জের বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের (লাল) প্রয়াণের পরই এই আসনে উপ নির্বাচনের প্রয়োজন পড়ে। উপ নির্বাচন ঘোষণা হতেই এই কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করে তৃণমূল। নাসিরউদ্দিনের মেয়ে আলিফা আহমেদ তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তাঁর বিপরীতে কংগ্রেসের হয়ে লড়বেন কাবিল উদ্দিন শেখ এবং বিজেপির হয়ে আশিষ ঘোষ। গতবারের নির্বাচনের পর প্রার্থীদের মুখ বদলেছে দুই দলই। এবার দেখা যাক, ভাগ্য বদলায় কাদের।