PM Narendra Modi: রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ১৫০তম বর্ষপূর্তিতে 'লাইট অ্যান্ড সাউন্ড'-র উদ্বোধন করলেন নরেন্দ্র মোদি
জগদীপ ধনখর ও নরেন্দ্র মোদি (Picture Credits: ANI)

কলকাতা, ১১ জানুয়ারি: কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের (Kolkata Port Trust) ১৫০-তম বর্ষপূর্তিতে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেখানে হাওড়া ব্রিজে (Howrah Bridge) লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের উদ্বোধন করেন তিনি। পাশেই বসেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টে কিছুক্ষণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। আজ বেলা ৩.৩৩ মিনিটে বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে শহরে পৌঁছোন তিনি। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে পৌঁছে যান রেসকোর্সে। সেখান থেকে তাঁর কনভয় পৌঁছোয় রাজভবনে। রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর পৌঁছোন মিলেনিয়াম পার্কে। সেখানে ভাষণ দেন। আজ তাঁর রাজভবনে রাত্রিবাস করার পরিকল্পনা বদল হয়। বেলুড় মঠেই রাত্রিবাস করবেন জানান। আগামীকাল স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সেখানে থাকবেন। এরপর তিনি আবার দিল্লি ফিরে যাবেন।

প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফর ঘিরে আজ সকাল থেকে বিক্ষোভ করতে পথে নামে বাম দলগুলি। মমতা ব্যানার্জির আচরণ নিয়ে প্রসন্ন তোলে বাম। আজ রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে পৌঁছে যান তৃণমূলের ধর্ণা মঞ্চে। ধর্ণা মঞ্চ থেকে তিনি আবার সিএএ ও এনআরসির বিরোধিতা করেন। তবে সকাল থেকে বামেদের বিক্ষোভকেও সমর্থন করেননি। আরও পড়ুন, প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকার, একটু পরেই তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ণা; মুখ্যমন্ত্রীর আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলল বামেরা

 

বামকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ওরা শুধু চেঁচাতে পারে। গাড়ি জ্বালাতে পারে। মমতা ব্যানার্জির আচরণ নিয়ে কটাক্ষ করেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম (Md. Salim)। তিনি জানান, শীতের মরসুম, যাত্রার সিজন। মমতা ব্যানার্জি যাত্রা করছেন রাজ্যের মানুষের সাথে। এতদিন বলছিলেন ক্যা ক্যা ছি ছি, আজ গিয়ে বলে এলেন, ওসব ভুলে যান। ওটা কাছাকাছি। আজ সকাল থেকে বামেরা (CPIM) পথে নেমে 'গো ব্যাক মোদি' (Go Back Modi) প্ল্যাকার্ড ও স্লোগান দেয়। পোড়ানো হয় মোদির কুশপুতুল। জেএনইউ-র হামলা, সিএএ, এনআরসি,কর্মসংস্থানের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তারা। গান, স্লোগানে মোদিজিকে ফেরত পাঠানোর স্লোগান দেয় তারা।

ধর্ণা মঞ্চ থেকে মমতা ব্যানার্জি আবার রওনা দেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ১৫০-তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে যোগদান করতে। তাঁর এই আচরণ নিয়ে নিন্দা উঠেছে নানা রাজনৈতিক মহলে।