কলকাতা, ১০ অগাস্ট: আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (RG Kar Medical College and Hospital) মহিলা চিকৎসক খুনের ঘটনা ৪৮ ঘন্টা পেরিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশসূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই বহিরাগত ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালিন উত্তরে অসঙ্গতি মেলায় সন্দেহভাজন হিসেবে যুবককে আটক করা হয়েছে। আর এতেই প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে। অত রাতে কীভাবে ওই অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি হাসপাতালের তিনতলায় উঠে গেল। এমনকী চিকিৎসকদের সেমিনার রুমে, যেখানে মাঝেমধ্যেই চিকিৎসকরা পোশাক বদলায় কিংবা বিশ্রাম নেন। আর সেই সুরক্ষার কারণে এখনও পর্যন্ত ওই রুমের মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়নি। আর সেই রুমে ঢুকে কীভাবে এক অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি চিকিৎসককে খুন করল এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে প্রয়োজন নিরপেক্ষ তদন্ত।

এই খুনের ঘটনা নিয়ে শনিবার কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুরলি ধর বলেন, "আমরা  ভারতীয় ন্যায় সংহিতার অধীনে ১০৩ (১) এবং ৬৪ ধারায় মামলা রুজু করেছি। ইতিমধ্যেই ধর্ষণ ও খুনের মামলায় তদন্ত করছি। আমরা এই খুনের তদন্ত স্বচ্ছ ও সঠিক পথেই নিয়ে এগোচ্ছি। এই তদন্তের পরবর্তীকালে যে পথেই এগোবে না কেন সেটা আমরা আইনের মাধ্যমে সকলের সামনে নিয়ে আসবো"। যদিও রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের নিরপেক্ষতার ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না রাজ্যের বিরোধী দলসহ আন্দোলনরত পড়ুয়ারা।

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেছেন, পড়ুয়াদের ক্ষোভ যথেষ্ট সঙ্গত। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ তদন্ত চালাচ্ছে। তবে আমাদের তদন্তের ওপর বিশ্বাস না থাকলে আন্দোলনরত পড়ুয়ারা যে কোনও এজেন্সির কাছে যেতে পারেন। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। সিবিআই তদন্ত করতে পারে। আমাদের কাছে লুকানোর কিছু নেই।