কলকাতা, ৩১ মার্চ: করোনায় আক্রান্ত উত্তর ২৪ পরগণা বেলঘরিয়ার (Belgharia) এক বাসিন্দা। বয়স ৫৭ বছর। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। শ্বাসকষ্ট, ডায়বেটিস, কিডনির সমস্যায় তিনি ভুগছিলেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। তবে তাঁর কোনও বিদেশির সংস্পর্শ বা বিদেশ যাওয়ার যোগ নেই বলেই জানা গেছে। জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২৩ মার্চ তাঁকে বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বছর ৫৭-র ওই প্রৌঢ়কে। ২৬ তারিখ থেকে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। ৩০ মার্চ তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় নাইসেডে। এরপর আজ রিপোর্ট এলে তাতে সংক্রমণের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছে।এই নিয়ে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৭।
রথতলা মোড়ে এই ব্যক্তির ফাস্ট ফুডের দোকান (Fast Food Shop) রয়েছে। বেলঘরিয়ার এই হাসপাতালেই ডায়ালিসিস চলতো এই রোল বিক্রেতার। পারিবারিক এবং পাড়া থেকে খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে গত দু'মাসে বেলঘড়িয়ার বাইরে তিনি কোথাও যাননি। স্থানীয় এবং স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর গত আড়াই মাস এই ব্যক্তির বেলঘড়িয়ার বাইরে কোথাও যাননি। তাহলে কীভাবে সংক্রমণ? সেটাই এখন মাথা ব্যথার কারণ স্বাস্থ্য ভবনের। ইতিমধ্যেই ওই হাসপাতালে চিকিৎসা যুক্ত দুই চিকিৎসক নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের হাসপাতালে মধ্যেই কোয়ারান্টিনে রেখে দেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন, ফের করোনার বলি ১ জন, রাজ্যে মারণভাইরাসে মৃত বেড়ে ৩
রাজ্যে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের (COVID-19) সংখ্যা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। সোমবার সন্ধ্যায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মধ্যবয়স্ক এক রোগীর মৃত্যু হয়। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য এসএসকেএমে পাঠানো হয়েছিল। রিপোর্ট আসার আগেই প্রাণ হারালেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা পৌঁছালো তিনে। মৃতের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগ পাওয়া গিয়েছে। এদিকে রবিবার আক্রান্ত চার জনের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানান চিকিৎসকেরা। আলিপুরের সেনা হাসপাতালে ভর্তি, আক্রান্ত চিকিৎসকের সরাসরি সংস্পর্শে আসা ৩৪ জন কোয়রেন্টাইনে আছেন। ওই চিকিৎসকের কাছাকাছি এসেছিলেন আরও ৪৩ জন। মধ্যপ্রদেশ-যোগে লেক টাউনের নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন, বরাহনগরের বাসিন্দা ৬৬ বছরের বৃদ্ধকে এ দিন দত্তাবাদ সংলগ্ন এক বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।