কলকাতা, ৪ ডিসেম্বর: দূষণের গেরোয় নাজেহাল রাজধানী। এবার সেই তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলল কলকাতা (Kolkata)ও। নভেম্বরে দূষণের মাত্রা কম থাকলেও ডিসেম্বরের শুরুতেই সূচক সর্বত্র লাল। বৃহস্পতিবার মাত্রা ৩০০ ছাড়িয়ে গেল, যা মানব শরীরের জন্য ‘খারাপ’ হিসেবেই চিহ্নিত হয়। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বুধ ও বৃহস্পতিবার দূষণ সূচক চড়াই ছিল। সারাদেশে দূষণ ভয়াবহতায় এগিয়ে রয়েছে রাজধানী দিল্লি। তারপরেই রাজ্যের তিন শহর কলকাতা, হাওড়া ও আসানসোল। এরমধ্যে হাওড়াতে গতবছর সূচক ছিল ৯৭। দিল্লিতে ৮৭। কলকাতা ও আসানসোল ছিল দিল্লির পরেই। এমনিতে কলকাতায় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দূষণ পরিস্থিতি ভয়াবহ থাকে। ২০১৯-এর নভেম্বর ডিসেম্বর ও চলতি বছরের জানুয়ারি ফেব্রুয়ারিতে এর ব্যাতিক্রম হয়নি। আরও পড়ুন-US President-Elect Joe Biden: আমেরিকানরা বিনামূল্যেই পাবেন করোনার প্রতিষেধক, বললেন জো বিডেন
তবে এ বছরে লকডাউনের জেরে মার্চ থেকে রাজ্যের দূষণমাত্রা অনেক কম ছিল। দীপাবলির সময় বেশ কিছু অংশে দূষণ সূচক আশঙ্কাজনক থাকলেও তা সর্বত্র ছিল না। ছটপুজোতেও দূষণের সূচক ছিল বেশ বেশি। বিশেষ করে বিটি রোড এলাকায় দূষণ মাত্রা রয়েছে অনেকটাই। রবীন্দ্রভারতীর মনিটরিং সেন্টারের রিপোর্ট দেখলেই তা বেশ বোঝা যায়। মূলত শহর লাগোয়া গ্রামাঞ্চালে এখন ফসলের গোড়া পোড়ানোর হিড়িক পড়ে। তার থেকেই বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে থাকে। শহরের বিভিন্ন জায়গাতে আগুন জ্বালিয়ে শীতের উপভোগ চলে। এসব থেকেই ছড়ায় দূষণ। বৃহস্পতিবার সারা দিনই গড়ে সেই সূচক ৩৫০-এর বেশি ছিল। বালিগঞ্জ, বিধাননগর, যাদবপুর, ফোর্ট উইলিয়ম, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল চত্বরেও গড় দূষণ-সূচক ছিল ৩০০-র বেশি। রবীন্দ্র সরোবর চত্বরেও গড় দূষণ-সূচক ছিল ৩০০ ছুঁইছুঁই। কখনও কখনও তা ৩০০-ও ছাড়িয়ে গিয়েছে।
তবে এভাবে দূষণ মাত্রা বাড়তে থাকলে খুব তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে তা বলাই বাহুল্য। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে গেলে দূষণের মাত্রাকে কমানো অবশ্যই জরুরি। শীতের বাকি সময়টায় পরিস্থিতি কেমন থাকে তাই দেখতে হবে।