ভুয়ো ভোটার, ভোট চুরি, এসআইআর (SIR) সহ একাধিক বিষয় নিয়ে রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করেছেন নির্বাচন কমিশন। সেই বৈঠকে বিরোধীদের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে এসআইআর গোটা দেশে নিশ্চিতভাবে হবে বলেও বার্তা দেন তিনি। কমিশনের এই বৈঠকের পরেই শাসক-বিরোধী দুই পক্ষই এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে। আগামী কয়েকমাসের মধ্যে বাংলায় এসআইআর চালু হওয়ার কথা। এই নিয়ে কমিশন এখনই দিনক্ষণ প্রকাশ করেনি। তবে বাংলাতে যে এসআইআরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আরও জোড়ালো হবে তা কিন্তু এখন থেকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

এসআইআর নিয়ে প্রশ্ন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের (Chandrima Bhattacharya) মন্তব্য, “কেন এসআইআর এখন শুরু হচ্ছে? বিহারে নির্বাচনের আগে শুরু হয়েছিল। একই অবস্থা বাংলাতেও হচ্ছে। ২০০৩-এ যখন এসআইআর হয়েছিল সেই সময় সারা দেশে একসঙ্গে হয়েছিল। তাহলে সেই একইভাবে এবারে কেন এসআইআর হচ্ছে না। কেন যে রাজ্যে নির্বাচন, শুধু সেখানেই এসআইআর করা হচ্ছে? মহারাষ্ট্রে কেন নির্বাচনের আগে এসআইআর হল না? আসলে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতেই এই পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে, সেটা স্পষ্ট। এই কারণেই নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে”।

দেখুন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বক্তব্য

বিহারে এসআইআর

প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু করেছে কমিশন। খসড়া তালিকায় বাদ গিয়েছে ৬৫ লক্ষ মানুষের নাম। যদিও কোন ভিত্তিতে তালিকা থেকে নাম বাদ গেল, কী মাপকাঠি রয়েছে, সেই নিয়ে কিছুই জানায়নি কমিশন। যার জেরেই বিহারের রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে বিতর্ক।