মমতা ব্যানার্জি (Photo Credit: IANS)

কলকাতা, ২০ জানুয়ারি: এনপিআর (NPR) নিয়ে গত সপ্তাহের শুক্রবারই দেশের সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে আসে কেন্দ্র সরকার। এনপিআরের বিরোধিতায় দেশের যে দুটি রাজ্য সবথেকে বেশি সরব হয়েছিল, সেই বাংলা (West Bengal) এবং কেরলের (Kerala) মধ্যে বাংলার কোনও প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকলেও কেরলের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন ওই বৈঠকে। ওই বৈঠকে একবাক্যে সকল রাজ্যের প্রতিনিধিই জানিয়ে দেন এনপিআর-এ তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। ১০ বছর অন্তর তো এটা হওয়ারই কথা। ২০১০ সালে হয়েছে, পরে সংশোধন করে ২০১৫ সালে হয়েছে। গণগণনা তো করতেই হবে। এনপিআর-এর বিরোধিতা কেউ করছে না। ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে আজ সোমবার এ নিয়ে মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)।

দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্য থেকে বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলির প্রতি তাঁর অনুরোধ 'রাজ্যে এনপিআর চালুর আগে ভালো করে ওটা নিয়ে পড়াশুনো (Study) করে নিন।' এনপিআর-এর তথ্য থেকে তথ্য নিয়ে তৈরি হতে পারে নারগরিকপঞ্জি। কেন্দ্রের এই পরিকল্পনাতেই আপত্তি রয়েছে বিভিন্ন মহলে। সায় নেই কংগ্রেসশাসিত রাজ্যগুলির। সেই সঙ্গে কেরলেরও। নাহলে রাজ্যে এনপিআর করাতে আপত্তি নেই ওই রাজ্যগুলির। বৈঠকে উঠে আসে এমন আলোচনাও। গত বুধবার এনপিআর চালু করা নিয়ে নতুন করে এক বিজ্ঞপ্তি (Notification) জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার। যেখানে বলা হয়, এনপিআর-এর জন্য কোনও নথি কিংবা বায়োমেট্রিক তথ্য লাগবে না। তবে ২১টি তথ্য জানাতে হবে সরকারকে। একটি বিশেষ ফর্মের মাধ্যমে এনপিআর-এর জন্য এপ্রিলের পর থেকে কাজ শুরু হবে প্রতিটি রাজ্যে। শেষ ডিসেম্বরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও (Amit Shah) এ প্রসঙ্গে জানিয়ে দিয়েছিলেন, এনপিআর নিয়ে কোনও ভারতবাসীকেই দেশছাড়া হতে হবে না। আরও পড়ুন: NPR Update: এনপিআর-এ স্থগিতাদেশ দিল রাজ্য সরকার

তাছাড়া এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "আমি দেশের সমস্ত রাজ্যগুলিকেই অনুরোধ করছি সিএএ-র (CAA) বিরুদ্ধেও রেজুলেশন চালু করা হোক।" প্রথম থেকেই এনআরসি (NRC) ও ক্যাবের মতো কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত ১৬ ডিসেম্বর রাজ্য সরকারের তরফে একটি নির্দেশিকা পাঠানো জানিয়ে দেওয়া হয় আপাতত এনপিআর এর প্রস্তুতি বা কাজকর্ম বন্ধ রাখা হচ্ছে। কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার, হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার থেকে সমস্ত জেলাশাসককেই ওই নির্দেশিকা পাঠানো হয়। নিজের অবস্থান থেকে কেরল ঈশত সরে গেলেও পশ্চিমবঙ্গ একেবারে অনড় রয়েছে। বাংলায় এনপিআর, এনআরসি, সিএএ কোনওটাই হতে দেবেন না মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তাঁর মন্তব্যে তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল।