কলকাতা, ২২ মে: লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2019) মিটেছে ১৯ মে। এক্সিট পোলও বেরিয়ে গিয়েছে। কাল, বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে ভোট গণনা (Vote Counting)। তবু কলকাতায় আজও চলছে লোকসভা ভোট। শহরবাসী আজও ভোট দিচ্ছেন। আসলে কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের একটা বুথে চলছে পুননির্বাচন (Re-polling)। সকাল ৭টা থেকে উত্তর কলকাতা লোকসভার জোড়াসাঁকো বিধানসভা কেন্দ্রের ২০০ নম্বর বুথে চলছে পুননির্বাচন। কড়া নিরাপত্তার মাঝেই চলছে ভোট। এই পুননির্বাচনের কারণ ভোটকর্তাদের ভুল। গত রবিবার, শেষ দফার ভোটে ওই বুথে মহড়া ভোট না মুছেই আসল ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে যায়। এই ঘটনাটা নজরে আসতেই শুরু হয় আসল ভোটারদের খোঁজ। জানা যায়, ১৩ জনের মধ্যে ১১ জনকে ফের বুথে নিয়ে এসে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এরপরই নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়।
#WestBengal: Polling underway at polling station number 200 in North Kolkata parliamentary constituency. ECI had declared void the poll held on 19 May at the polling station. pic.twitter.com/w3C85wZ1eY
— ANI (@ANI) May 22, 2019
পর্যবেক্ষকরা স্ক্রুটিনি করে কমিশনে রিপোর্ট জমা দেন। রিপোর্টের পরেই কমিশন পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়। এক্সিট পোলের খবর এই বুথের পুননির্বাচনে প্রভাব ফেলবে বলে অনেকের আশঙ্কা। এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে কড়া চ্যালেঞ্জ দিচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা। গতবার সুদীপকে চ্য়ালেঞ্জ ছুড়ে রাহুল দু নম্বরে উঠে এসেছিলেন। এবার বিজেপি প্রার্থী আরও কড়া চ্য়ালেঞ্জ ছুড়ছেন বলে খবর।
কাল, বৃহস্পতিবার ভোটগণনা-র জন্য শহরজুড়ে কড়া নিরাপত্তা। গণনাকে নিয়ে যাতে শহরে অশান্তি ছড়িয়ে না পড়ে তা নিয়ে সতর্ক কমিশন। লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ (Lok Sabha Elections 2019) শেষ হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয় বুথফেরত সমীক্ষা (Exit Polls 2019)। আর দেশের প্রায় সমস্ত সংবাদমাধ্যমেই দেখা যায় রাজ্যে তৃণমূলকে চাপে রেখে দারুণ ফল করতে চলেছে বিজেপি (BJP)। প্রায় সব সমীক্ষাতেই দেখা যাচ্ছে বাংলা থেকে দু সংখ্যার (অন্তত দশজন) সাংসদ পেতে চলেছে বিজেপি। কিছু সমীক্ষাতে তো এমনও দেখানেো হয় কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)-এর চেয়েও বেশি আসনে জিততে পারে। এর পরেই বাংলার দিকে চেয়ে গোটা দেশ। বাংলায় রেকর্ড সংখ্যাক সভা করেছেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)-অমিত শাহ (Amit Shah)। বিজেপি কার্যত সর্বশক্তি উজাড় করে বাংলায় প্রচার সারে। আর তারপরই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বাংলায় এক্সিট পোলের ফলাফল। গত বেশ কয়েকবছর ধরে একপেশে রাজনীতি দেখে চলা বাংলায় আচমকাই এসে গিয়েছে একটা 'কী হয় কী হয়' ভাব।