Kurmi Movement (Photo Credits: Twitter)

কলকাতা, ১৪ মেঃ আদিবাসী তকমার দাবিতে বছরের পর বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষেরা। ১ এপ্রিল থেকে জঙ্গলমহল জুড়ে শুরু হয়েছে আবারও কুড়মি আন্দোলন (Kurmi Movement)। কুড়মি সম্প্রদায়কে পৃথক তালিকাভুক্ত করার দাবিতে তাঁদের সেই আন্দোলন ক্রমেই জোড়াল চেহারা নিচ্ছে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে কুড়মি সম্প্রদায়ের ভোটের দিকে চেয়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীরা এসে যোগ দিচ্ছে এই আন্দোলনে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষের এই ঠাণ্ডা লড়াই ক্রমেই মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata's Big Tension) মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই আন্দোলন বুমেরাং হয়ে ফিরতে পারে বলেই আশঙ্কা তৃণমূল সরকারের।

গত মাসেই বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক অঞ্চলে রেল এবং বাসপথে অবরোধ করেছিল আন্দোলনকারীরা। কুড়মি আন্দোলনে স্লোগান উঠেছে, 'আগে এসটি পরে ভোট, কুড়মি সমাজ বাঁধো জোট'। নিজেদের পরিচিতির দাবিতে আন্দোলনকারীদের একত্রিত করতে দেওয়াল লিখন থেকে স্লোগানের ডাক দিয়েছে তাঁরা। তৃণমূল কংগ্রেসের পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি এক সাংবাদিক বৈঠকে কুড়মি নেতাদের মনোভাব খালিস্তানের নেতাদের সঙ্গে তুলনা করে আগুনে আরও ঘি ঢেলেছেন। বিধায়কের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে জঙ্গলমহলে জুড়ে আরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। যদিও অজিত মাইতির এহেন মন্তব্যের জন্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) নবান্ন থেকে কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি কুড়মিদের পাশে রয়েছেন এবং আগামী দিনেও থাকবেন।

কিন্তু আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কুড়মিদের ভোট কোন দিকে যায় সেই দিকে তাকিয়ে বসে সকলে। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে কুড়মিদের ভোট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে চলেছে।

যদিও কুড়মি নেতারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই নির্বাচনে তাঁরা কোন রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করবে না। আগে তাঁদের এসটি তালিকাভুক্ত করা হবে তারপর ভোট। সেই দাবিতে কুড়মি গ্রামগুলোতে কোন রাজনৈতিক দলের প্রচার কিংবা দেওয়াল লিখন নয় বলেই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।