কসবায় তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের (Sushanta Ghosh) ওপর হামলার ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড আফরোজ খান ওরফে গুলজারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে হামলাকারীদের মধ্যে একজন যুবরাজ সিংকে শুক্রবারই গ্রেফতার করেছেন পুলিশ। অন্যদিকে, রবিবার এক ট্যাক্সিচালককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে হামলার দিন যুবরাজকে স্কুটারে করে যে নিয়ে এসেছিল সেই যুবকের খোঁজ এখনও পায়নি পুলিশ। পুলিশের মতে, ওই হামলার দিন একজন আততায়ীকে আটক করার পর স্কুটার নিয়ে পালায় আরেকজন। সেই সময় কিছুটা দূরেই একটি খাল ও জমিসুদ্ধু পরিত্যক্ত বাড়ি ছিল। ফলে এইসব জায়গায় আরেকটি আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
ফলে সেই বন্দুকের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। রবিরার সকালে ওই খালে নামানো হয় ডুবুরি। বেশ অনেকক্ষণ ধরেই চলে তল্লাশি। যদিও এখনও অবধি দ্বিতীয় আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজ মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে। অন্যদিকে ওই পরিত্যক্ত বাড়ির আশেপাশেও খোঁজাখুঁজি চলে। তবে দ্বিতীয় পিস্তল বা আততায়ী কারোরই সন্ধ্যান মেলেনি এখনও। অভিযুক্তদের জেরা করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা জানতে পেরেছে যে যদি একজন হামলাকারী নিশানা মিস করে তখন অপরজন হামলা চালাবে। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ঘটনাস্থলেই ভেস্তে যায়। তখনই স্কুটার আরোহী ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে এই ঘটনার মূল চক্রী গুলজার গ্রেফতার হওয়ার পর জানিয়েছে, তাঁর মূল উদ্দেশ্যে ছিল সুশান্তকে খুন করা। কারণ সে আনন্দপুরে গুলশন কলোনীতে ২০০০ বর্গফুটের একটি জমি কেনার চেষ্টা চালাচ্ছিল। কিন্তু সুশান্তের কারণে সে নিতে পারেনি। তৃণমূল কাউন্সিলর ওই জায়গায় প্রোমোটিং করতে চাইছিলেন। সেই কারণে সে জমিটি নিতে চাইছিল। অন্যদিকে বিহারের জামুইয়ের বাসিন্দা গুলজার দুবাইতে কাজ করে কসবাতে এসে অর্জিত টাকা দিয়ে গুদাম বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই স্বপ্নের বাধা হয়ে দাঁড়ায় সুশান্ত। তাই বিগত ৫ মাস ধরে ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমুূল কাউন্সিলরকে একাধিকবার হামলার পরিকল্পনা করেছিল গুলজার।