Kolkata Durga Puja 2020: করোনা সংক্রমণ রুখে দুর্গাপুজো, চ্যালেঞ্জ উদ্যোক্তাদের
ফাইল ছবি

কলকাতা, ২০ জুলাই: কলকাতা আর দুর্গাপুজো। একে অপরের পরিপূরক। কিন্তু করোনা আবহে সংক্রমণ এড়িয়ে কীভাবে পুজো সম্ভব! তা নিয়ে চিন্তিত কলকাতার বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলি। পাঁজি অনুযায়ী, আগামী ২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠী কিন্তু এত বড় উৎসব কীভাবে সম্ভব, তা ভেবে কুলকিনারা করতে পারছেন না পুজো উদ্যোক্তারা। এহেন পরিস্থিতিতে ৩৫০টি পুজো কমিটি নিয়ে একটি বৃহত্তর কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুজোর আয়োজকদের নিয়ে তৈরি ওই ফোরাম একটি সুপারিশ তালিকা জমা দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রশাসনিক প্রধান মমতা ব্যানার্জির কাছে। সুপারিশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট নিরাপত্তামূলক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে পুজো করা যাবে বলে জানায় পুজো কমিটিগুলি।

সংক্রমণ এড়াতে বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুজো কমিটিগুলি। মন্ডপে প্রবেশের আগে প্রত্যেক দর্শনার্থীদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে। ২৫ জনের বেশি একসঙ্গে দর্শনার্থীকে প্যান্ডেলে প্রবেশ করা যাবে না। প্রত্য়েক দর্শনার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। পুজো প্যান্ডেল এবং আশেপাশের এলাকা জীবানুমুক্ত করা-সহ আরও একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে করোনাভাইরাসের প্রকোপে এমনিতে বাজেটে বড়সড় কাটছাঁট করেছে বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলি। সীমিত বাজেটের মধ্যেই মন্ডপসজ্জা থেকে প্রতিমা বানানো এবং করোনা রোখার প্রস্তুতি নেওয়া রীতিমত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুজো কমিটির কাছে। কারণ সংক্রমণ এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জেরে বাজেটের অর্ধেকের বেশি অংশটাই ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। স্যানিটাইজার গেট, থার্মাল গান, মাস্ক, গ্লাভস এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবারের পুজোতে মাস্ট, আর তাতেই বাজেটের বেশিরভাগ অংশটাই খরচ হয়ে যাচ্ছে বলে মত পুজো কমিটির। মণ্ডপে ভিড় এড়াতে ভার্চুয়াল মণ্ডপ দর্শনের উপরও জোর দিচ্ছেন বেশ কিছু পুজো কমিটির সদস্য়রা।

ইতিমধ্যেই মন্ডপসজ্জার কাজ অল্পবিস্তর শুরু হয়ে গেছে শহরে, ঝুঁকি না নিয়েই সীমিত শিল্পী নিয়ে এবং সংক্রমণ রুখতে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েই চলছে মন্ডপ তৈরির কাজ। তবে দক্ষিণ এবং উত্তর কলকাতায় হেভিওয়েট বাজেটের পুজোগুলির উদ্যোক্তারা যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছেন। কারণ ভিড় সামলে সংক্রমণ এড়িয়ে কীভাবে সম্ভব পুজো। তা কুলকিনারা করতে পারছেন না তাঁরা।