Abhishek Banerjee (Photo Credit: ANI/Twitter)

আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College and Hospital) এই প্রতিবাদের মাঝেই কোন্ননগরে একটি লরি দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, শ্রীরামপুরের ওয়ালশ হাসপাতালে চিকিৎসার পর তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে রেফার করা হলে সেখানে দুই ঘন্টা বিনা চিকিৎসায় পড়ে থাকার পর মৃত্যু হয়েছে যুবকের। এই নিয়ে কার্যত প্রতিবাদী চিকিৎসকদের ওপরেই দোষারোপ করতে শুরু করেছে শাসক শিবির। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বিনা চিকিৎসাতেই মৃত্যু হয়েছে অভিষেকের। কিন্তু চিকিৎসক সংগঠনের পাল্টা দাবি, ওই যুবক বিনা চিকিৎসার কারণে মৃত্যু হয়নি। বরং তাঁকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়ছিল। কিন্তু তার পরেও স্বাভাবিক নিয়মে মৃত্যু হয় তাঁর।

গত ৬ সেপ্টেম্বর অভিষেক এক্স হ্যাণ্ডেলে একটি পোস্টে লিখেছিলেন, যদি প্রতিবাদ করতে হয় সেটা গঠনমূলক ভাবে করা উচিত। প্রতিবাদী চিকিৎসকদের আরও মানবিক ও সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত ছিল। প্রতিবাদের কারণে কারোর জীবন ঝুঁকিতে ফেলা উচিত নয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের সমস্ত দাবি ন্যায্য এবং এই প্রতিবাদও সমর্থনযোগ্য, কিন্তু তাই বলে আন্দোলনের কারণে বিনা চিকিৎসায় কোনও রোগীর মৃত্যু হলে তা কিন্তু অপরাধযোগ্য। এর কোনও ক্ষমা হয় না।

অভিষেকের এই পোস্টের পরেই গর্জে ওঠে চিকিৎসক মহল। শ্রীরামপুর হাসপাতালের সুপার এই প্রসঙ্গে বলেছেন, যুবককে কলকাতা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়ছিল। কিন্তু তাঁকে কেন আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। অন্যদিকে সোমবার পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট প্লাটফর্মস অফ ডক্টরসের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়েছে সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে ১২টা পর্যন্ত ওই যুবককে চিকিৎসা করা হয়েছে এবং তার যথেষ্ট নথি ও তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের ভিত্তিহীন দাবি ও উষ্কানিমূলক মন্তব্যের কারণে বিপদে পড়তে পারেন চিকিৎসকেরা। সেই কারণে তাঁর নিঃশর্ত ক্ষমা ও মন্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহর করা উচিত।