বয়ালে মমতা(Photo Credits: ANI)

নন্দীগ্রাম, ১ এপ্রিল: “নন্দীগ্রাম নিয়ে চিন্তিত নই। গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তিত। এখানে ভোটে চিটিংবাজি হয়েছে।” প্রায় দুঘণ্টা পর বয়ালের ৭ নম্বর বুথ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের একথাই বললেন তৃণমূল নেত্রী তথা শাসকদলের নন্দীগ্রামের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মূল রাস্তা থেকে ওই বুথের দূরত্ব প্রায় দু’কিলোমিটার। হুইলচেয়ারে বসিয়েই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁকে। তার পর ফের গাড়িতে চেপেই রওনা দেবেন। তবে এর পর আর কোনও কেন্দ্রে যাবেন, নাকি রেয়াপাড়ার বাড়িতে ফিরবেন, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে এখনও এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ও র‌্যাফ। এদিন সকালে থেকেই এই বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি বলে অভিযোগ করে তৃণমূল কংগ্রেস। আরও পড়ুন-WB Assembly Elections 2021: ‘অমিত শাহর নির্দেশে বহিরাগতরা ভোট লুট করেছে, আমরা আদালতে যাব’, রাজ্যপালকে ফোন করলেন মমতা

সকাল থেকে একের পর এক অভিযোগ পেয়ে বেলার দিকে বয়ালের সাত নম্বর বুথে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি পৌঁছানোর সঙ্গেই হুইল চেয়ার ঘিরে নিজেদের ক্ষোভ জানাতে শুরু করেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। বিজেপির বিরুদ্ধে অবাধে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা বুথের কাছে যেতে পারেননি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য এমন অভিযোগও উঠেছে। বিজেপি সমর্থকরা ততক্ষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে শুরু করেছে। একদিকে তৃণমূল আর একদিকে বিজেপির মারমুখী কর্মীরা। মাঝখানে পুলিশ, ব়্যাফ, কেন্দ্রীয় বাহিনী। জেলার দুঁদে পুলিশকর্তারা। ততক্ষণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে।

পরিস্থিতি ঘোরাল হয়ে উঠতেই মমতা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ফোন করে সবকিছু জানান। নন্দীগ্রামে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন যাতে হয়, তার আবেদনও করেন। এরপরেই সাংবাদিকদের মমতা বলেন, “কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে বহিরাগতরা ভোট লুট করছে। বাইরে থেকে লোক আনা হয়েছে নন্দীগ্রামে। বহিরাগতরা বিহার ও উত্তরপ্রদেশের। এরাই স্লোগান দিচ্ছে। একানে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। আমরা আদালতে যাব।” যদিও শুভেন্দুর দাবি, বার বার জয় শ্রীরাম শুনে বিচলিত হয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেত্রী।