কলকাতা, ২৫ ডিসেম্বর: রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠকে ডাকলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর (Governor Jagdeep Dhankhar)। আগামী ১৩ জানুয়ারি বৈঠক হবে রাজভবনে (Raj Bhavan)। রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (VC) এবং শিক্ষা সচিবকে সেই বৈঠকে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার এ কথা জানান খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর। পরিস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির (Mamata Banerjee) সঙ্গেও বৈঠকে ইচ্ছুক। তিনি আরও জানিয়েছেন, ১৫ দিনের মধ্যে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। রাজ্যপাল বলেন, "রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি গুরুতর। সব ভাইস চ্যান্সেলরকে রাজভবনে ১৩ জানুয়ারি সকাল ১১ টায় একটি ইন্টারেক্টিভ সেশনের জন্য আমন্ত্রিত করা হয়েছে। উপাচার্যদের এক সপ্তাহ আগে তাদের উদ্বেগ লিখিতভাবে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাতে আমি তাঁদের বিষয়গুলি বোঝার মতো অবস্থানে থাকি।"
সোমবারের পর মঙ্গলবারও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) গিয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সমাবর্তনে আচার্য হিসেবে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সোমবার কোর্ট বৈঠকে সভাপতিত্ব করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকলেই তাঁকে ঘিরে কালো পতাকা দেখানো শুরু করেন পড়ুয়ারা। ওঠে গো ব্যাক স্লোগান। দেড় ঘণ্টা ধরে গাড়িতেই অপেক্ষা করে শেষে ফিরে যান জগদীপ ধনখর। মঞ্চে ফাঁকা পড়ে থাকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরের জন্য নির্দিষ্ট আসন। আচার্যকে ছাড়াই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় সমাবর্তন। আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar: 'নিতান্ত অসহায় হয়ে আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাড়ছি' টুইটারে জানালেন অভিমানী রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়
At Jadavpur University today. Surely this does not gel with either the rule of law or rich culture of the State of West Bengal. I would strive undeterred and work for wholesome environment on campus and make those concerned realise their accountability. pic.twitter.com/8QsEWyCIGF
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 24, 2019
পরে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। বলেন, "রাজ্যপাল এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা খাটো করতে রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে নীতি পঙ্গুত্ব চলছে। রাজ্য সরকারের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।" পরে তিনি টুইটে লেখেন, "যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ যা ঘটেছে তা অবশ্যই আইনের শাসন ও পশ্চিমবঙ্গের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির সঙ্গে মিলছে না। আমি নির্বিঘ্নে চেষ্টা করব এবং ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য কাজ করব এবং সংশ্লিষ্টদের তাদের কাজের উপলব্ধি করিয়ে দেব।"